প্রাথমিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নতুন করে শুনতে পোর্টাল তৈরি করবে সংসদ। সেখানে অভিযোগ জানানোর ১৫ দিনের মধ্যে তার সমাধান করতে হবে। প্রাথমিকে ৭৩৮ জনের নিয়োগ বিতর্কে পর্ষদের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তবে যে পাঁচজন মামলা করেছেন, তাঁদের নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তাঁদের ২৬ ডিসেম্বর ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
গত ২০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটে ৭৩৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে প্রশ্নপত্র ভুল সংক্রান্ত যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের নিরিখে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, যে ৭৩৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হল, তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাবেন।
এদিকে এই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২২ তারিখ হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। পাঁচজন সেই মামলা করেন। তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে পর্ষদ স্বীকারও করে নেয় ত্রুটির বিষয়টি। সেদিনই আদালত বলেছিল, যোগ্য অথচ তালিকায় নাম নেই যাঁদের, তাঁদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কী ভাবছে তা বৃহস্পতিবার জানাতে হবে। পর্ষদের ওয়েবসাইটেও বিষয়টি আপডেট করে দিতে হবে। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। পর্ষদ জানিয়ে দেয় যে পাঁচজন মামলা করেছিলেন, তাঁরা চাকরি পাবেন। কারণ, তাঁরা যোগ্য প্রার্থী।
বুধবারই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, অফলাইনে ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন, তাঁদের অনেকে এখনও ভুল প্রশ্নের জন্য যে প্রাপ্য নম্বর তা পাননি। তাই ইন্টারভিউয়ের যে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে তাঁদের নাম নেই। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, অফলাইনে বড় সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। ফলে সেখানে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে। পর্ষদ যোগ্যদের বঞ্চিত করবে না, এই আশ্বাস দেয়। এরপরই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, এখন হাতে গোনা কয়েকজন মামলা করেছেন। এর পর আরও মামলা দায়ের হলে কী হবে? বৃহস্পতিবার পর্ষদ জানায়, আর মামলার দরকার নেই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিজেদের পোর্টাল খুলছে খুব শিগগিরি। যার যা অভিযোগ আছে সেখানেই নথিবদ্ধ করতে পারবেন প্রার্থীরা। ১৪ দিনের মধ্যে যা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত পর্ষদ গ্রহণ করবে।