আবারও এটিএম জালিয়াতি। এবার নতুন কায়দায় এটিএম প্রতারণার অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম ইশাক আলি। গতকাল গড়িয়া এলাকার বিভিন্ন এটিএম-এর কাছে ওই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। তখনই সন্দেহ হয় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা ওই ব্যক্তিকে।
এরপর থানায় নিয়ে যেতেই তার কাছ থেকে পরচুলা,আয়রন রড, চুম্বক, সুক্রু-ড্রাইভার, আঁঠা লাগানোর টেপ, উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
সেই সময় তাঁরা জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি এটিএম কাউন্টারে টাকা বেরনোর মুখে তারা আয়রন রড লাগিয়ে রাখত। কেউ কাউন্টার থেকে টাকা তুললে তার টাকা ওই এটিএমএর মুখে এসে আটকে যেত। টাকা না পেয়ে কাউন্টার ছাড়লেই অভিযুক্ত ব্যক্তি এটিএম-এ ঢুকে টাকা বেরানোর মুখ থেকে আয়রন রড খুলে টাকা বের করে নিত। বেশ কয়েকবছর ধরেই এই অসৎ কাজ করছিল সে।
অভিযুক্ত ঈশাক আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি বারাসত এলাকায়। অভিযুক্তকে আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হবে। আদালতে তোলা হলে ধৃতকে সাত দিনের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ এক আধিকারিক জানান, “আমাদের নরেন্দ্রপুর থানার একটি দল একজন যুবককে সন্দেহজনক ভাবে কয়েকটি এটিএমএর সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। তারপর তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল খবর বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত যুবক ইশাক আলি তার বাড়ি বারাসতে। ওকে আটকের পর জানতে পারি এএটিএম থেকে টাকা চুরির জন্য অন্যরকম ফাঁদ পেতেছিল। এটিএম এর স্লটের মুখ বন্ধ করে রাখত তারা। এরপর কাসটোমার যখন সেই টাকা পেত না। তখন বেরিয়ে যেত। সেই সময় অভিযুক্ত ও তার বন্ধু মিলে ওই টাকা হাতিয়ে নিত।”