ইসলামিক স্টেটের ম্যাগাজিনের মাধ্যমে ভারতে মূর্তি ভাঙার ডাক দিলো জেহাদি সংগঠন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান জুড়ে প্রচুর অনলাইন এক্টিভিস্ট নিয়ে ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে এন আই এর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ ও জেহাদিদের বিশেষ নজরে

ইসলামিক স্টেট্ এবার ভারতে মুসলিমদের মূর্তি ভাঙা ও অপবিত্রকরণ করার জন্য ডাক দিলো। ম্যাগাজিন ভয়েস অফ হিন্দে মহাদেবের মাথাহীন মূর্তির ছবি প্রকাশ করে এই দুস্কর্মে উসকানি দেয় ওই সন্ত্রাসবাদীরা।
ম্যাগাজিনে বলাও হয়েছে, “এখনই উপযুক্ত সময় মিথ্যে দেবতাদের ভাঙার।” সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওই মেগাজনের কভার ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে ইসলামিক স্টেটের সমর্থকেরা। শিবের ওই মূর্তিটি কর্ণাটকের মুরুদেশ্বরা মন্দিরের বিগ্রহ বলে মনে করা হচ্ছে।

কেশব শেঠি নাম এক নেতা ওই ছবিটি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, “ইসলামিক স্টেটের ভয়েস অফ হিন্দের মাধ্যমে ভারতে মূর্তি ভাঙ্গার প্রতিজগিতায় আহ্বান করা হয়েছে। মন্দির সংস্কৃতি আমাদের সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই ধ্বংস করতে চাইছে জঙ্গিরা। আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা এতো শক্তিশালী হওয়া উচিত যাতে করে তারা মন্দিরে আঘাত করতে না পারে। গৃহ মন্ত্রককে এই ব্যাপারে ফোন অবহিত করা হয়েছে। মুরদেশ্বরা মন্দিরের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।”

উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টেটের আল-কিতাল মিডিয়া সেন্টার এবং জুনুডুল খিলাফাহ আল-হিন্দ
২০২০ সালে ‘ভয়েস অফ হিন্দ’ বার করে। এই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী Investigation Agency (NIA) এক বিবৃতিতে বলেছে বলেছে কল সেন্টারের ধাঁচে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ওই জেহাদি মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় সন্ত্রাসে উস্কানি দেয়া হচ্ছে। শিক্ষিত ও উচ্ছ শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের ওই কাজে লাগানো হচ্ছে।

এই ম্যাগাজিনের অফিস দক্ষিণ কাশ্মীরে ও আছে। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ থেকে প্রচুর জেহাদি মানসিকতাসম্পন্ন যুবক যুবতীদের নিয়োগ করা হয়েছে। মেগাজিনটি পাকিস্তানে এডিট করা হয় বলে খবরে প্রকাশ। পশ্চিমবঙ্গ ও জেহাদিদের বিশেষ নজরে বলে খবর।

জুলাই মাসে এন আই এ উমর নিসার, তানভীর আহমদ ভাট এবং রামিজ আহমদ লোনকে ওই ম্যাগাজিনের মাধ্যমে ভারত বিরোধী কাজে ইন্ধন দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দারা বলছেন মোবাইল ব্যবহারকারী এবং অনলাইন ফেক একাউন্ট ধারীদের সঙ্গে নিয়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন জঙ্গি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলছে জেহাদের প্রচার। এই নিয়ে চিন্তায় সুরক্ষা আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.