বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে এক লাফে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হবে। রাজ্য সরকারের চাপের দিনেই প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এখনও জমা পড়েনি রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট। আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে পাঁচ বার বৃদ্ধি পাওয়া কমিশনের মেয়াদ। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর অভিরূপ সরকারকে চেয়ারম্যান করে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। এর পরে দফায় দফায় সময়সীমা বেড়েছে কমিশনের। এরই মধ্যে শুক্রবার স্যাটে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই ইস্যুতেও মমতা সরকারকে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করল না বিজেপি।
এদিন দিলীপ ঘোষ ‘দ্য ওয়াল’-কে টেলিফোনে বলেন, ‘‘গোটা দেশের প্রেক্ষিতে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলা। বামেরা অনেক ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে। বাকিটা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি যেখানে যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে বেতন চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রায় সর্বত্রই সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয়েছে। সেখানে এই রাজ্য এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে চলেছে। বিজেপি ক্ষমতা এলে দেশের বাকি রাজ্যের সঙ্গে বাংলার সরকারি কর্মীদের এই বৈষম্য দূর করবে।’’
অবশ্য এই দাবি দিলীপ ঘোষের একার নয়। খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের আগে এসে শুনিয়ে গিয়েছেন সেই আশ্বাসবাণী। তিনি বলেছিলেন, বাংলায় দল ক্ষমতায় এসে প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই সপ্তম বেতন কমিশন লাগুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার জন্য অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল সপ্তম বেতন কমিশনের রূপায়ন৷ ভোটের প্রচারে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছিলেন— গেরুয়া বাহিনী ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় হারে বেতন চালু হবে রাজ্যে৷ সরকার গঠনের পরে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকার সেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। শুরুতেই রাজ্যের প্রায় আড়াই লাখ কর্মীর বেতন ১৪.৫৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে মহার্ঘ ভাতা।
দিলীপ এদিন আরও বলেন, ‘‘বেতনবৃদ্ধি না করে রাজ্য সরকার ছুটি দিয়ে খুশি করতে চাইছে সরকারি কর্মীদের। কিন্তু সেটা আর সম্ভব নয়। ক্লাবকে অনুদান থেকে মেলা করে দান খয়রাতি করছে রাজ্য সরকার আর সরকারি কর্মীরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ডিএ চাইল বলা হয়েছে ‘ঘেউ ঘেউ’। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বদলে দেবে এই পরিস্থিতি।’’