পরিবর্তনের পরে বিজেপি ও আইপিএফটি সরকার ক্ষমতায় আসতেই উঠেছিল টানা দু দশকের বাম শাসনে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ। ২০০৮-০৯ সালে রাজ্য পুর্ত দফতরে ৮০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগে এবার তৎকালীন পুর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জারি করা হল ভিজিল্যান্স সমন।
জেরার মুখে পড়তে চলেছেন এই হেভিওয়েট সিপিএম নেতা। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন।
বাদলবাবুর বিরুদ্ধে সমন জারি হতেই ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিনই কেন প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হল সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে অনেক নেতারই দাবি, রাজ্যের বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
২০০৮-০৯ আর্থিক বছরে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। সেই বছরে পুর্ত দফতরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। সরকার পরিবর্তন হতেই, বিভাগীয় তদানীন্তন পুর্ত ইঞ্জিনিয়র সুনীল ভৌমিককে ভিজিল্যান্সের জেরায় পড়তে হয়।
অভিযোগ, তিনি কিছু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরেই জড়িয়ে যায় তৎকালীন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর নাম। জানা গিয়েছে, বাদলবাবু কিছু সময় চেয়ে নিয়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তৎকালীন ত্রিপুরার অপর মন্ত্রী বিজিতা নাথকেও তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।