অশান্তি শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজোর অষ্টমী তিথিতে। এরপর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন শেষ পর্যন্ত মুখ খুলল বাংলাদেশি পুলিশ। দেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা এবং বিভিন্ন মন্দির ও পুজো মণ্ডপে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সরকারি বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জন মারা গিয়েছেন দেশজুড়ে। জানানো হয়, কুমিল্লার ঘটনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নোয়াখালিতে দু’জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। তাছাড়া ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট রটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় কিছু স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতির প্ররোচনায় অশআন্তি শুরু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অশান্তি বন্ধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তবে পুলিশের চেষ্টা সত্ত্বেও গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়ানোর কথা স্বীকর করা হয় পুলিশের তরফে। এই সব হিংসার ঘটনায় ৫০ জন পুলিশকর্মীও জখম বলে জানানো হয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
পরিস্থিতি যাতে আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য পুলিশ টহল জোরদার করেছে এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দাদের তরফে। এদিকে জানা গিয়েছে, সেদেশের কুমিল্লায় দুর্গাপুজো মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ে যে ব্যক্তি কোরআন রেখেছিল, তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে ইকবাল হোসেন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে। তার সন্ধানে বাংলাদেশ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম।