তাপমাত্রার অঙ্কের হিসেব বলছে ৩৭ ডিগ্রি। কিন্তু রিয়েলফিল বলছে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খোদ কলকাতা শহরের মানুষ আজ এতটাই গরমে দিনভর তেতেছেন বলে জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। তবে আর কয়েকটা দিন এই আর্দ্রতা, অস্বস্তি ও দাবদাহ সহ্য করার পরে, মাসের শেষ দিকে খানিক শান্ত হতে পারেন বরুণদেবতা। হতে পারে বৃষ্টি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ফের উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিন তুমুল বৃষ্টির পরে বানভাসি অবস্থা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের। প্রকৃতি একটু শান্ত হয়েছিল, সবে কয়েক দিন হল। কিন্তু আবারও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অবস্থা শুরু হয়েছে সেখানে। সঞ্জীববাবু জানিয়ে দিলেন, পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিনও উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই এই বৃষ্টি চলবে। নীচের দিকে, মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বৃষ্টি হবে বেশ ভালই। ২৫ তারিখ থেকে কমতে পারে এই বৃষ্টি।
সঞ্জীববাবু বলেন, “মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয়ের পার্বত্য এলাকা দিয়ে পাস করছে এখন। তাই উত্তরবঙ্গে এই তুমুল বৃষ্টি চলছে একটানা। কিন্তু দক্ষিণের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই। একটু ওপরের দিকের জেলাগুলো, অর্থাৎ বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানে তা-ও খানিকটা বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। বাঁকুড়া-পুরুলিয়া পর্যন্ত সেই রেশ পৌঁছবে বড়জোর।”
তিনি জানান, আগামী কালও এই রকমই আর্দ্রতা ও গরম থাকলেও ২৬ এবং ২৭ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গে। তবে যত ক্ষণ এই বৃষ্টি শুরু না হবে, তত ক্ষণ এই আর্দ্রতাজনিত তীব্র অস্বস্তি বজায় থাকবে।
তবে এই বৃষ্টি যে মোটেই মৌসুমী বায়ুর দাক্ষিণ্য নয়, তা-ও জানিয়ে দিলেন সঞ্জীববাবু। তিনি বলেন, “ওড়িশা উপকূলে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ঘনাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। সেটা তৈরি হলে নিম্নচাপ হবে, যার জেরে বৃষ্টি হবে দক্ষিণ বঙ্গে।”
তবে তত দিনে আশা করা যাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখাও খানিকটা নীচের দিকে নেমে আসবে। ফলে এ মাসের শেষের দিকে, ২৬ বা ২৭ তারিখ থেকে থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। তাই এই মুহূর্তে আকাশের দিকে চেয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই বলেই মেনে নিতে হবে শহরবাসীকে।