মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে হলফনামা দেওয়ার নিদান দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ ৭ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। কিন্তু একটি সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তাঁকে এই নিদান হাইকোর্ট দিতে পারেন না বলেই মনে করেন বিমানবাবু। তাই রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়ে দিলেন, পিএসি চেয়ারম্যান মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ কলকাতা হাইকোর্টে মুকুল মামলার শুনানিতে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। তাই কোন যুক্তিতে মুকুল রায়কে এই পদে বসানো হল তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এখানেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি তোলেন। বিজেপির নামের তালিকায় মুকুল রায়ের নাম ছিল না। কলকাতা হাইকোর্টের যুক্তি, যদি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বৈধই না হয়, তাহলে তাঁর পিএসি সদস্য বা চেয়ারম্যান থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আর বিধানসভার রুল বুকের ৩০২ ধারা অনুযায়ী, আনুপাতিক হারে পিএসি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়। এখানে সেই বিধি মানা হয়নি বলে বিজেপি’র অভিযোগ।
আর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে বলে মনে করেন। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গেও আলোচনা করেন। তারপরই হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান।