মন খারাপ হয়ে গেল পুজো কমিটিগুলির। কারণ এই বছর দুর্গাপুজোর পর হবে না কার্নিভাল। এই কার্নিভাল দেখার জন্য বেশ ভিড় হয়। কিন্তু ভিড় হলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তাই এই বছর বন্ধ থাকছে ‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল’। এই বছর এমনিতেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ভিড় করা যাবে না। তাই পরিস্থিতি বিচার করে মঙ্গলবার ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
এবারও গতবারের মতো ক্লাব এবং পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সেটা যেমন মনে খুশি এনে দিয়েছিল তেমনই কার্নিভাল না হওয়ার সিদ্ধান্ত মনে বিষাদের সুর বয়ে নিয়ে এলো পুজো কমিটিগুলির কাছে। এই বছর ২০১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা অনুমোদন করল রাজ্য অর্থ দফতর। তবে হবে না কার্নিভাল। নিষেধাজ্ঞা জারি রইল সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের উপরও। ভিড় এড়াতে খোলামেলা রাখতে হবে পুজোমণ্ডপ। তৃতীয়া থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিতে হবে পুজোর মণ্ডপ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এবার করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাহলেও কেন এই নিষেধাজ্ঞা? নবান্ন সূত্রে খবর, এটা ঠিক যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সাবধানতা না নিলে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই এই নির্দেশিকা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে কীভাবে পালিত হবে দুর্গাৎসব, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? নবান্ন সূত্রে খবর, এই বছর চারিদিক খোলা মণ্ডপ করতে হবে। যেখানে প্রবেশ এবং বেরনোর পৃথক জায়গা থাকবে। এমনভাবেই তৈরি করতে হবে পুজোমণ্ডপ। তাছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে। একইসঙ্গে মণ্ডপে স্যানিটাইজার এবং মাস্কের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। কোনও দর্শনার্থী মাস্ক পরে না আসলে তাঁকে তা দিতে হবে পরার জন্য। যত বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবককে মণ্ডপে রাখতে হবে। মাস্কে মুখ ঢাকতে হবে তাঁদেরও। তাঁদেরও মেনে চলতে হবে শারীরিক দূরত্ব।
এখানেই শেষ নয়, দুর্গাপুজোর সময় অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা বা দেবীবরণের মতো রীতিকে এবার ছাড় দেওয়া হনেও তা করতে হবে ছোট–ছোট গ্রুপে। মন্ত্রচ্চারণের সময় পুরোহিতদের মাইক্রোফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে দূর থেকে মন্ত্র শুনতে পান পুণ্যার্থীরা। তবে অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরষ্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকরা ভিড় করে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ দু’টি গাড়ি নিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন তাঁরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারকরা। পুজো উদ্বোধন কিংবা বিসর্জনে বেশি জাঁকজমক চলবে না। নদী বা পুকুরে বিসর্জনের ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হবে।সম্পর্কিত খবর