কলকাতার শিবপুর গ্রামে কৃষক মধুসূদনের ঘরে যখন পুত্র সন্তান যখন জন্ম নিয়েছিল, তখন মধুসূদন তাঁর ছেলের নাম সূর্যকান্ত রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু এক শিক্ষকের কথায় ওই কৃষক তাঁর ছেলের নাম চন্দ্রকান্ত রাখে। এটা ইশ্বরের কাজ না শুধুই সংযোগ যে, চন্দ্রকান্ত এখন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রর একজন বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী। আর তাঁর নেতৃত্বে আজ ইসরোর সতীশ ধবন লঞ্চ প্যাড থেকে চন্দ্রযান-২ কে মহাকাশে পাঠানো হয়।
মধুসূদন জানান, ‘যখন চন্দ্রযান মিশন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি খুব দুঃখী হয়েছিলাম। কিন্তু আমি আশা ছেড়েছিলাম না। আমাদের দেশের সবথেকে কঠিন চন্দ্রযান মিশনের জন্য আমরা তৈরি ছিলাম। আমি অনেক গর্বিত এবং অনেক খুশি যে, আমার ছেলে এই মিশনের নেতৃত্বে আছে।”
চন্দ্রকান্ত ভারতীয় উপগ্রহ আর গ্রাউন্ড স্টেশনের জন্য অ্যান্টেনা সিস্টেম ডিজাইন করেছেন। উনি চন্দ্রযান-১, GSAT-12 আর ASTROSAT এর প্রোজেক্ট ম্যানেজার আর অ্যান্টেনা সিস্টেম নিয়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ডেপুটি প্রোজেক্ট ডাইরেক্টর, উনি চন্দ্রযান-২ এর আরএফ প্রণালীর দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়াও তিনি ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার এর Electromagnetics এর প্রধান।
চন্দ্রকান্ত-র বাবা মধুসূদন জানান, ‘জমিতে কাজ করার জন্য ব্যাস্ত থাকার কারণে আমি কখনো ওকে পড়াতে সময় পাইনি। চন্দ্রকান্তের শিক্ষকই ওকে এরকম বানিয়েছে। ও সবসময়ই কর্মঠ ছিল। ২০০১ সালে চন্দ্রকান্ত ইসরোতে জয়েন করে, আর এরপর তাঁর দক্ষতা এবং কাজ করার প্রবণতার জন্য আজ সে ইসরোর প্রধান বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে একজন।”
চন্দ্রকান্তের ছোট ভাইয়ের নামও চাঁদের নামে শশিকান্ত রাখা হয়েছে। আর সেও বিজ্ঞানী। আপনাদের জানিয়ে রকাহি, চন্দ্রযান-২ সোমবার দুপুর ২ঃ৪৩ নাগাদ লঞ্চ হয়। এর আগে ১৫ই জুলাই চন্দ্রযান-২ এর লঞ্চিং হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু খামতির জন পিছিয়ে দেওয়া হয়।