রাত পোহালেই তিন কেন্দ্রে নির্বাচন। ভবানীপুরে উপনির্বাচন। আর সামশেরগঞ্জ–জঙ্গিপুরে নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে যোগ দিয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টি। ফলে তিন কেন্দ্রেই নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সকাল থেকেই সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সব বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
দুর্যোগের জন্য কয়েক দফা ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএম মেশিনকে নিরাপদ রাখার জন্য পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হবে। যাতে ইভিএম মেশিন জলে না ভিজে যায়। প্রত্যেক ভোট–কর্মীকে দেওয়া হচ্ছে রেনকোট। প্রত্যেকটি বুথে সেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে জল জমার সম্ভাবনা আছে, সেখানে পাম্প বসানো হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট দুটি নৌকার ব্যবস্থা রাখছে যাতে তিন ফুটের উপর জল জমলে সেগুলি ব্যবহার করা যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ। এখানে শুরু হয়েছে ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম এবং অন্যান্য সামগ্রীর বণ্টন প্রক্রিয়া। জঙ্গিপুর পলিটেকনিক কলেজে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট কর্মীদের ব্যস্ততা। ভোটের সরঞ্জাম সংগ্রহ থেকে সমগ্র ভোট প্রক্রিয়া বুঝে নিচ্ছেন ভোট কর্মীরা। সমস্ত সরঞ্জাম প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। ভোট কর্মীদেরকে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাস এবং গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
মূর্শিদাবাদ–বীরভূম সীমানায় কাসিম নগরে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। ছোট বড় বিভিন্ন গাড়িতে চলছে পুলিশের তল্লাশি। জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৬৩টি। মোট ভোটার ২৫৪৭১৫ জন। আর সামশেরগঞ্জে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩২৯। মোট ভোটার ২৩৫৫১১ জন। এখানেও গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।