ভুজিয়া দেখলাম। (এ ছবিকে ভুজিয়া বলব, বাস্তব ভুজের ওই পরিমাণ গর্ব করার ঘটনার সাথে কোনোভাবেই এই ছবির নাম জুড়ব না আমি, তাতে আমাদের বায়ুসেনা ও ভুজের সাধারণ মানুষের, উভয়েরই তীব্র অপমান)। ইয়ে বেশ ভালো কল্পবিজ্ঞান এর গল্প লাগল। গল্প হলো পাকিস্তান টাইম মেশিন আবিষ্কার করেছে। তারা ১৯৭১ এর যুদ্ধে টি ৯০ আর টি ৭২ ট্যাংক নিয়ে ভারত দখলের তালে রয়েছে। সেটা যাতে সফল হয় সেজন্য তারা প্রথমে ভুজ এয়ারপোর্ট এ থাকা সমস্ত মিগ ও রানওয়ে ধ্বংস করতে চায়। তাই ভিডিও গেমের দেবতার কাছে প্রার্থনা করে তারা ১০ খানা স্যাবারে, বি ৫২ বোম্বার এর চেয়েও বেশি বোমা পুরে ফেলে কোনোভাবে, আর ইনফিনিট অ্যামো চিটকোড দিয়ে দেয়। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর খাবারে উতকৃষ্ট গঞ্জিকা মিশিয়ে দেয়, যাতে রানওয়েতে বোম্বিং শুরু হলে তারা বাংকারে না গিয়ে রানওয়েতে ডান্ডিয়া খেলতে উঠে যায়। ফলস্বরূপ ভুজে সাংঘাতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যে পরিমাণ মিগ আমরা গোটা ৭১ এর যুদ্ধে হারাই না, ভুজে তার চেয়ে বেশি মিগ ধ্বংস হয়।
কিন্তু ওভাবে থোড়াই আমাদের আটকানো যাবে? আমাদের বিমল দাদা আছেন কিনা, মুখে জুবান কেশরী রেখে টেস্টবাড হারিয়ে যাওয়ায় গঞ্জিকা মুখে রোচেনি। তিনি তাই অমর। জেট এর সাথে জিপের ধাক্কা ওনার কাছে খাট থেকে গড়িয়ে পড়ে যাওয়ার সমান। দু ক্রু ওয়ালা ওরলিয়াকন কামান উনি নিজে একা চালিয়ে পাকিস্তানি স্যাবারের দফারফা করে দেন (যদি ট্র্যাভারসিং পা দিয়ে করেন আর এলিভেশন হাত দিয়ে, তাহলে ট্রিগার কি দিয়ে টিপছিলেন সেটা জানার চেষ্টা না করাই ভালো)। টিনের থালা দিয়ে একে ৪৭ এর গুলি আটকে দেন (মিখাইল কালাশনিকভ এর কবর থেকে আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে), নিজে এয়ারবেস এর স্কোয়াড্রন লিডার হয়ে উনি স্পাই খোঁজেন টিনের থালা হাতে নিয়ে।
মড়াঠামানব এর সাথী কুড়ুলমানব ও তার জিটিএ লাফ। ওরে সে কি কুড়ুল সংগ্রাম। একটা সিনে একাই কুড়ুল নিয়ে বোধহয় ১০০ জন পাকি সেনার গলা কেটে দেন। হ্যাঁ মানছি পাকিদের কারুর কাছে বন্দুক ছিল না কোনো কারণে (বেচারারা সঞ্জুবাবাকে ৯৩ এর ট্রমা দিতে চায়নি সম্ভবত)। অন্য সিনে ধাঁই করে উড়ুক্কু গোরুর গাড়ি নিয়ে চলে আসেন, দেখার জিনিস।
আর শরদ কেলকার আছে। এই তিনজন একাই কিকরে পাকিস্তানের গোটা ট্যাংক ব্যাটালিয়ন সগগে পাঠিয়ে দেন সেটাই গল্প।
কি? কিসব রানওয়ে বানানো? ওটা পাতি সাবপ্লট। সোনাক্ষী কিসব চিতা মারতে মারতে বিষ খাবার কথা বলে না কিসব, তারপর রানওয়ে বানানোর বাতেলা মারে, কিন্তু সেটা একটা গোটা গান গাওয়ার পর। তারপর নিঃশব্দে রানওয়ে বানানোর পর তারস্বরে ভজন গায় খোল কীর্তন বাজিয়ে, কারণ পাকিস্তানিদের কাছে খোলের আওয়াজ যেতেই পারে না, স্ক্রিপ্ট এর বারণ।
আর ক্লাইম্যাক্স (অথবা শীঘ্রপতন…যা পেসিং) ওই নিচের ছবিটি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। শুধু একটাই দুঃখু:-
কোথায় জালিমা কোকা-কোলা? সব চুর, দূর দূর 😭😭😭
রেটিং – ৬৯/১০
Dipro shikhar barman