ঐতিহাসিক সোনা জয়ের পর দেশে ফিরেই জ্বরে ভুগছেন নীরজ চোপড়া। সঙ্গে রয়েছে গলা ব্যথাও। তবে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নীরজের করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, ‘প্রবল জ্বরে ভুগছেন নীরজ। গলা ব্যথাও আছে। জ্বর কিছুতেই কমছে না। তবে সৌভাগ্যবশত তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনি আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছেন।’ তবে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দেখা করার যে কথা ছিল, সেখানে নীরজ যাবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ঠিক গত সপ্তাহের শনিবার অলিম্পিক্সে ইতিহাস তৈরি করেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক জেতেন। টোকিয়োর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম থ্রোয়েই ৮৭ মিটারের গণ্ডি পেরিয়ে যান। ছোড়েন ৮৭.০৫ মিটার। দ্বিতীয় চেষ্টায় আরও এগিয়ে যান। সেইবার নীরজের বর্শা ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। সেটাই শেষপর্যন্ত সোনার পদকের জন্য যথেষ্ট ছিল।
সোনার পদক গলায় নিয়ে নীরজ বলেন, ‘দ্বিতীয় থ্রোয়ের পর আমি জানতাম যে প্রথমের থেকে ভালো করেছি। আমি ভাবিনি যে আমি জিতে গিয়েছি। সেটা বিপজ্জনক হতে পারত। কারণ সেটার উপর নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমি অলিম্পিক্স রেকর্ডের (৯০.৫৭ মিটার, বেজিং অলিম্পিক্সে হয়েছিল) জন্য ঝাঁপাব ভেবেছিলাম। কিন্তু সেই পরিকল্পনামাফিক হয়নি। পরবর্তী লক্ষ্য ৯০ মিটার।’ সেইসঙ্গে নীরজ বলেন, ‘অবিশ্বাস্য লাগছে। অ্যাথলেটিক্সে এই প্রথম ভারত সোনা জিতল। তাই আমার দারুণ লাগছে। অন্যান্য খেলাধুলোয় এবার (টোকিয়োয়) একটা সোনা এসেছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন পর এটা অলিম্পিক্সে আমাদের প্রথম (সোনার) পদক। অ্যাথলেটিক্সে প্রথমবার আমরা সোনা জিতেছি। আমি এবং আমার দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যোগ্যতা-অর্জন পর্বে আমি ভালো ছুড়েছিলাম। আমি জানতাম যে ফাইনালে আরও ভালো করতে পারব।’ সঙ্গে বলেন, ‘আমি জানতাম যে এটা সোনা হবে।’