রাম জন্মভূমি ন্যাস এর কার্যকারী অধ্যক্ষ ডঃ রামবিলাস বেদান্তি শুক্রবার লখনৌ এ বলেন, বিশ্বের কোন শক্তিই রাম জন্মভূমিতে মসজিদ বানাতে পারবে না। প্রাক্তন সাংসদ রামবিলাস বেদান্তি বলেন, রাম জন্মভূমিতে হওয়া খোদাই এর সময় ১২ টি ভগবানের মূর্তি বেড়িয়েছিল। সেখানে যে, মসজিদ ছিল সেটার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উনি বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির ভেঙে সেখানে মসজিদের গুম্বজ বানানো হয়েছিল। যেরকম ভাবে পাকিস্তান আর মালয়শিয়ায় অনেক আগে ভেঙে দেওয়া মন্দিরের যায়গায় আবার মন্দির বানানো হয়েছে, তেমন ভাবে ভারতে আবার কেন সেখানে মন্দির বানানো হবেনা?
রাম বিলাস বেদান্তি বলেন, মন্দির নির্মাণের জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১৫২৮ সালে বাবর মন্দির ভেঙে মসজিদের নির্মাণ করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেটা করে ওঠা সম্ভব হয়নি। আর সেখানে অনেক মূর্তি পাওয়া গেছিল, যেটা প্রমাণ করে যে সেখানে রাম মন্দিরই ছিল।
উনি বলেন, আমরা সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবকা বিকাশ – সবকা বিশ্বাস এর স্লোগান দিয়েছেন। কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির, রাম মন্দির আর মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি তেও মন্দির চাই আমরা। উনি বলেন, অযোধ্যাতে রাম মন্দির আর লখনৌতে একটি মসজিদ হওয়া উচিত। কিন্তু বাবরের নামে না। বাবর সবার প্রথমে হরিয়ানার বাবরপুরে গেছিল।
যদি মুসলিমরা বাবরের নামে মসজিদ বানাতে চায়, তাহলে তাঁরা হরিয়ানায় যাক।অযোধ্যাতে বাবরের নামে কোন ঘাট নেই, কোন মহল্লা নেই। অযোধ্যায় যা আছে, সব ভগবান রামের নামে। গোটা অযোধ্যায় বাবরের নামে কিছুই নেই। সুপ্রিম কোর্ট তিনজন মহাপুরুষকে মধ্যস্থতা করার জন্য নিযুক্ত করেছে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আর দেশের মুসলিমদের আমি বলতে চাই, পাকিস্তান আর মালয়শিয়ায় পরিবর্তন হল, ভারতে কেন হবেনা?উনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক গগৈ কে নিজের নাম এই মামলা থেকে তুলে নেওয়া উচিত। ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য, দেশের মুসলিমদের এগিয়ে এসে বলা উচিত তোমরা অযোধ্যায় মন্দির বানাও। সবথেকে বড় দুঃখের কথা হল, যেই দেশে ৯০ শতাংশ হিন্দু বসবাস করে সেখানে একটি মন্দির বানানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়তে হয়।