ওভারের প্রথম বলেই লকি ফার্গুসনকে পয়েন্টের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তিন নম্বর বলটা বাউন্সার হওয়ায় কোনওমতে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়্যার লেগ অঞ্চলে পাঠিয়ে দু’রান নিতে গিয়েছিলেন ধোনি। আর তখনই মার্টিন গাপটিলের ডাইরেক্ট থ্রোতে রানআউট হন তিনি। ওই রানআউটেই খেলা বেরিয়ে যায় ভারতের হাত থেকে। কিন্তু তারপরেই এমন একটা গ্রাফিক্স ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে যা ফের আঙুল তুলছে আম্পায়ারের দিকেই।
ওই বলের আগে ধোনি যখন নিজের স্টান্স নিচ্ছেন তখনই টিভির পর্দায় ফুটে ওঠে ফিল্ডিংয়ের গ্রাফিক্স। অর্থাৎ মাঠের কোথায় কোথায় ফিল্ডার আছে। আর তখনই দেখা যায় আউটফিল্ডে অর্থাৎ ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে রয়েছেন ৬ জন ফিল্ডার। কিন্তু তৃতীয় পাওয়ার প্লে অর্থাৎ ৪০-৫০ ওভারের মধ্যে আউটফিল্ডে ৫ জনের বেশি ফিল্ডার রাখার অনুমতি নেই। আর আউটফিল্ডের এক ফিল্ডারের থ্রোতেই আউট হয়েছেন ধোনি।
আর এই গ্রাফিক্স ছড়িয়ে পড়ার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেউ বলছেন, ৬ ফিল্ডার বাইরে থাকা মনে নো বল। কিন্তু নো বলেও তো রানআউট হয়। হ্যাঁ, পরের বলটা অবশ্য ফ্রি হিট হতো। কিন্তু সেটাই কি হতো? আম্পায়ার আগে নো ডাকলে ধোনি হয়তো সে বলে রানই নিতেন না। কারণ তাহলে ১০ বলে ২৪ করতে হতো। সে ক্ষেত্রে ফ্রি হিট কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন ধোনি। আর ওই ফ্রি হিটে চার বা ছয় হয়ে গেলে কিন্তু খেলার সমীকরণটাই পাল্টে যেতে। তাই না কি?
তাহলে কি আম্পায়ারের ভুলের খেসারত দিতে হলো ভারতকে। চলতি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্কও হয়েছে। কিন্তু তাই বলে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে এরকম ভুল। আইসিসিকে কিন্তু এখনও অনেক কিছুর দিকে নজর দিতে হবে।