করোনার তৃতীয় ঢেউতে আক্রান্ত হবে শিশুরাও। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। এদিকে এসবের মধ্যেই শিশুদের নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই অভিভাবকদের। তাঁদের একাংশের দাবি, শিশুদের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে এই উদ্বেগ অনেকটাই কম হত। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কবে থেকে দেওয়া যাবে সেব্যাপারে কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে এবার অভিভাবকদের সেই উদ্বেগ কিছুটা হলেও লাঘব করলেন এইমসের প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় জাইডাসের ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা বর্তমানে জরুরী অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালও অগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়া উচিৎ। সেই সময়ের মধ্যে অনুমোদনও পেয়ে যাবে। এদিকে ফাইজারের ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। আশা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা শিশুদের টিকাকরণ শুরু করতে পারব। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে এটা বড় সাহায্য করবে।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘শিশুদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে উদ্বেগে অনেকে। কারণ তারা করোনা আক্রান্ত হলেও মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে। কিন্তু তাদের মাধ্যমে বাড়ির বয়স্করা বা বড়রা আক্রান্ত হতে পারেন।’ জানিয়েছেন এইমস প্রধান। তবে পাহাড়প্রমাণ উদ্বেগের মাঝে শিশুদের ভ্যাকসিন নিয়ে এই আশার কথায় অনেকটাই স্বস্তি পাবেন অভিভাবকরা।