সাম্প্রদায়িক কবি মুনাওয়ার রানার গাত্র দাহ হলেও, সমর্থন বাড়ছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘উত্তর প্রদেশ জনসংখ্যা নীতির”। যোগীর বক্তব্য, বর্ধিত জনসংখ্যা সমাজে সমস্যা বৃদ্ধির মূল কারণ। সমাজের উন্নতির জন্য জনসংখ্যা নীতি প্রাথমিক শর্ত।
দুই সন্তান নীতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রানা মুসলমানদের আট সন্তান উৎপাদন করার সপক্ষে অদ্ভুত যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কিছু করোনায় মারা যায়, কেউ বা এনকাউন্টারে মরে, তাহলে বাকি থাকলো কয়জন?”
দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে বলছেনা মৌলবাদী আজমল থেকে শুরু করে শিক্ষিত মুনাওয়ার রানা। আবার মানি হয় ওই ডিএনএ ই কথা বলছে।
এবার শিবসেনার মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) যোগী সরকারের জনসংখ্যা নীতির সমর্থন করলেন। সঞ্জয় রাউত বলেন, শিবসেনা উত্তর প্রদেশে লাগু জনসংখ্যা নীতির প্রভাবের বিশ্লেষণ করবে আর তারপর রাষ্ট্রীয় স্থরে চর্চার জন্য বিচার করবে।
শিবসেনা সাংসদ আরো বলেন, সামনেই নির্বাচন আছে বলে এই জনসংখ্যা নীতি পেশ করা হয়েছে তা ভাবা ভুল, কারণ উত্তর প্রদেশ আর বিহারের অধিক জনসংখ্যা অন্য রাজ্যগুলিকেও প্রভাবিত করে। গত রবিবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনসংখ্যা নীতি পেশ করে বলেছিলেন যে, এটি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা রাশ করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি শিশু মৃত্যুর হারও কম হবে।
জনসংখ্যা নীতি অনুযায়ী উত্তর প্রদেশে দুই সন্তান নীতির লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের স্থানীয় নির্বাচনে লড়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। পাশাপাশি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন, পদোন্নতি এবং সবরকম সরকারি সুবিধা থেকেই তাঁদের বঞ্চিত করা হবে। উত্তর প্রদেশের নতুন জনসংখ্যা নীতি অনুযায়ী, এক সন্তানের অভিভাবকদের বিশেষ সরকারি সুবিধাও দেওয়া হবে।
সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন যে, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য করা হয়েছে আর মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তিনি শিবসেনার মুখপাত্র সামনাতে লেখেন, ‘ওঁরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাসী নয়। এদের নীতি হল, এরা অনেক বিয়ে করবে আর অনেক বেশী করে বাচ্চার জন্ম দেবে। এটাই এদের স্বাধীনতা। আর এরা অশিক্ষিত বেকার।” সঞ্জয় রাউত এও বলেন যে, দেশের আটটি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্র শাসিত প্রদেশে আজ হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। বেআইনি অনুপ্রবেশের জেরে এসব হচ্ছে। অসম, বিহার আর পশ্চিমবঙ্গে ডেমোগ্রাফি বদলাচ্ছে।