ভারতে যখন করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছিল তখন থেকে বেশিরভাগ অর্থশাস্ত্রী দাবি করেছিলেন যে ভারতের অর্থব্যাবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। ভারত সরকারের ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমির স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হবে বলে দাবি করেছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। তবে এখন যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে সম্ভবত বুদ্ধিজীবী ও অর্থশাস্ত্রীদের পুনরায় বিচার করতে বাধ্য করবে। আসলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন চরমে তখন ভারত রপ্তানিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। বিগত ৩ মাসে ভারত ৯৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।
রপ্তানির মামলায় ভারত পুরানো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। রপ্তানির পক্রিয়াকে সহজ করার দরুন এই সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার। ভারত থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয় তার সবথেকে বেশি পরিমাণ যায় আমেরিকায়, আর এরপরেই রয়েছে চীনের নাম।
গত শুক্রবার, ২ রা জুলাই প্রকাশিত সরকারী তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন মাসে রপ্তানিকৃত রেকর্ড গত বছরের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি। বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুনে রফতানি ৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়ে ৩২.৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, ফলে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসের তুলনায় এবছর রপ্তানি অনেকাংশে বেড়েছে। এই বছর এপ্রিল-জুন কোয়ার্টারে রপ্তানি হয়েছে ৯৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের এই কোয়ার্টারে ছিল ৫১.৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছরের কোয়ার্টারে ১৮% রপ্তানি বৃদ্ধি হয়েছে।
প্রথম ত্রৈমাসিকে আমদানি করা হয়েছে ১২৬.১৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরে একই সময়ের ৬০.৬৫ বিলিয়ন ডলার অপেক্ষা বেশি।
ত্রৈমাসিকে তেল আমদানি দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ১৩.১২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৩৬.৩৬ শতাংশে ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইটারে টুইট করে জানিয়েছেন, যে মশলা এবং তৈল জাতীয় খাবারগুলি ২০২০-২১ অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় প্রথম ত্রৈমাসিকে দ্বিগুণ অঙ্কের রফতানি বৃদ্ধি করেছে।
জুনে ভারত সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ ছিল, গত বছরের তুলনায় এই বছর এই সময়কালে বাণিজ্য ঘাটতি ১,৪২৬.৬ শতাংশ বেড়েছে। জুনে আমদানিও ৯৬.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১.৮৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরে এই সময়কালে ২১.৩২ বিলিয়ন ডলার ছিল।