দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৩৭ হাজারের কোঠায়। দৈনিক সংক্রমণের হার কমলেও দেশের কয়েকটি রাজ্যে এখনও কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার চিন্তার কারণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, রবিবারে দৈনিক সংক্রমণের হার ধরা পড়েছিল ২.২৫ শতাংশ। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কেরল সহ ১৭টি রাজ্যের ৬৬টি জেলায় এখনও সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। আর সংক্রমণের হার বেশি হওয়া মানে একজন আক্রান্তের থেকে বেশিজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি।
দেশে এখন ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৫ লাখে এসে ঠেকেছে। কোভিড অ্যাকটিভ কেসের আর দুই শতাংশের নীচেই আছে। তবে কোভিডে মৃত্যু বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭২৪ জনের। কোভিডে মৃত্যুহার ১.৩২%। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডে মৃত্যুহার এক শতাংশের নীচে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড পরিসংখ্যাণ বলছে, দেশের ১৫টি রাজ্যের প্রায় ৯০টি জেলা থেকে ৮০ শতাংশ সংক্রমণের খবর মিলেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের ১৫টি, কেরলের ১৪টি, তামিলনাড়ুর ১২টি, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটকের ১০টি করে জেলা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হারও বেশি। পজিটিভিটি রেট মানে হল প্রতি ১০০ জনের মধ্যে যতজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসবে তার শতাংশের হিসেব। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশের উত্তর ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। জুলাই ৮ তারিখের পর থেকে কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার আরও বেড়েছে কয়েকটি জেলায়। রাজস্থানের প্রায় ১০টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
কোভিডের আর-নম্বর বা এফেক্টিভ রিপ্রোডাকটিভ নম্বর (R) ফের বাড়তে শুরু করেছে। আর-নম্বর হল এমন এক গাণিতিক হিসেব যার দ্বারা কোভিডের সংক্রমণের হার কতটা বাড়ছে ও কমছে সেটা বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্তদের থেকে কতজন সুস্থ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তারও হিসেব বের করা যায়। গত ১৫ মে থেকে ২৬ জুন অবধি আর-নম্বর কমে গিয়ে ০.৭৮ পয়েন্টে স্থির হয়। আর এখন এই নম্বরই ফের বেড়ে হয়েছে ০.৮৮। মহারাষ্ট্রে আর-নম্বর একের কাছাকাছি, কেরলে ১.১। কাজেই উদ্বেগ এখনও কমেনি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।