অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের সেসব মহিলাদের ২.৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া ঘোষণা করেছেন, যাদের স্বামী করোনার কারণে মার গিয়েছেন। তবে তাঁদের পারিবারিক আয় বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার কম হওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে। ‘মুখ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ বিধবা সহায়তা যোজনা” অনুযায়ী রাজ্যের ৮ জেলার ১৭৬টি মহিলার হাতে চেকের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য ৮৭৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রীরা সহায়তা রাশি তুলে দেবেন।
আরেকদিকে, একসময় করোনা সংক্রমণের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য প্রশংসিত কেরল মডেল এখন অথৈ জলে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে দৈনিক নতুন করে ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কেরলে। শনিবার রাজ্যে ১৪ হাজার ৮৭ জন মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, আর ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেরলে এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আর মোট ১৪ হাজার ৩৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেরলে বর্তমানে ১৩ হাজার ১১৫ জন মানুষ চিকিৎসাধীন। সংক্রমণে এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। প্রথম স্থানে থাকা মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণের হারও পার করে গিয়েছে বিজয়নের রাজ্য।
অন্যদিকে, দেশের সবথেকে বেশি জনসংখ্যার রাজ্য উত্তর প্রদেশ এখন করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে। উত্তর প্রদেশে শনিবার মাত্র ৯৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই দিনই মৃত্যু হয়েছে চার জনের। রাজ্যে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৬০৮। রাজ্যে মোট ১৭ লক্ষ ৭ হাজার ২২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৬৯৩ জনের। যা কেরলের থেকে অনেক বেশি।