ইরানের (Iran) হবু প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বুধবার তেহরানে বন্ধু দেশটির হবু রাষ্ট্রনায়কের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা পৌঁছে দিলেন জয়শংকর।
ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই মজবুত, অতীতে একাধিকবার নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে তেহরান। এবার সেই সম্পর্কে নয়া দিশা দেখিয়ে বুধবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাইসির সঙ্গে সাক্ষাতের খবর জানান জয়শংকর। টুইটারে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ইব্রাহিম রাইসিকে তাঁর আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যক্তিগত বার্তা তাঁর কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ভারতের প্রতি তাঁর (রাইসি) উষ্ণ আবেগকে সম্মান করি আমি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা থেকে বিশ্বমঞ্চে দুই দেশের সহযোগিতার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাকে অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করে দিল্লি।” বলে রাখা ভাল, গত জুন মাসে প্রত্যাশামতোই বিপুল ভোটে জিতে ইরানের (Iran) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ইব্রাহিম রাইসি।
এদিকে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আবহে রাশিয়া যাওয়ার পথে জয়শংকরের ইরান সফর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুঙ্গে জল্পনা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর কোনও বিদেশি প্রতিনিধির সঙ্গে এটাই ছিল রাইসির প্রথম সাক্ষাৎ। সচরাচর এমনটা দেখা যায় না। বৈঠকে রাইসির হাতে প্রধানমন্ত্রী মোদির নিজের হাতে লেখা শুভেচ্ছাবার্তা তুলে দেন জয়শংকর। পাশাপাশি, ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। তাই এই বিষয়ে বন্ধু ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে, রাশিয়ার সঙ্গেও তালিবানের উত্থান নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে সাউথ ব্লক। কূটনৈতিক সৌজন্যের আড়ালে আফগান ভূম নিয়ে দাবার পরবর্তী চাল ইতিমধ্যে দিয়েছে মোদি সরকার বলেই মত বিশ্লেষকদের।