কোভিডের ডেল্টা প্লাস প্রজাতি ছড়াচ্ছে এমন খবর ছিলই। এবার আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণে প্রথম মৃত্যুর খবরও এল। মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীর এক মহিলা কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আর ওই মহিলার নমুনায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্টের অস্তিত্ব মিলেছে।
মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, সংক্রমিত মহিলার স্বামী প্রথম কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পরেও সংক্রমণের উপসর্গ ধরা পড়ে তাঁর। এরপরে ওই মহিলা সংক্রমিত হন। কিন্তু তাঁর শরীর থেকে নেওয়া নমুনায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও ওই মহিলা ভ্যাকসিন নেননি বলেই জানা গেছে।
উজ্জ্বয়িনীর নোডাল কোভিড অফিসার ডাঃ রৌনক জানিয়েছেন, এখনও অবধি মধ্যপ্রদেশে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট খুঁজে পাওয়া গেছে পাঁচজনের শরীরে। যার মধ্যে উজ্জ্বয়িনীর দুজন ও ভোপালের চারজন রয়েছেন। ওই মহিলাও ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি কতজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাঃ রৌনক জানাচ্ছেন, করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতি খুব তাড়াতাড়ি একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়াতে পারে। তাই ওই মহিলা যদি বেশিজনের সংস্পর্শে এসে থাকেন তাহলে ডেল্টা প্লাস আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে। সে কারণেই ওই মহিলা যে এলাকার সেখানে কনট্যাক্ট ট্রেসিং শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কনট্যাক্ট ট্রেসিং করলেই ধরা পড়বে ওই মহিলা ঠিক কতজনের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের বিন্যাস বের করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে ডেল্টা প্লাস ছড়িয়ে পড়েছে খবর পাওয়ার পরেই আক্রান্তদের নমুনা নিয়ে জিনোম সিকুয়েন্স করা শুরু হয়েছে। সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে জানার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
দেশে এখন ৪০ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ২১ জন, বাকি মধ্যপ্রদেশ, কেরল সহ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে কোভিডের এই ছোঁয়াচে প্রজাতিকে ভ্যাকসিনে কাবু করা যাবে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নিলে ডেল্টা প্লাসের ঝুঁকি কমবে বলেই দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।