সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ৬ বার বৈঠক করে তাদের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী

সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ৬ বার বৈঠক করে তাদের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী : BJP

বিরোধীদের করা অভিযোগ, যে সরকার কোভিড কেসের দ্বিতীয় ঢেউকে উপেক্ষা করেছিল, সেই অভিযোগ খণ্ডন করে বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রকাশিত করেছে সেই সব তথ্য, যতবার মোদি রাজ্যগুলিকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের অসন্নতা সম্পর্কে সতর্ক করেছে, যখন সরকার পরামর্শ জারি করেছিল ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়েছিল।

বিজেপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন বৈঠকে বারবার তাদেরকে দেশের কিছু অংশে বাড়তে থাকে সংক্রমণের কথা তুলেছেন এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

পার্টি ১৭ই মার্চ মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে করা প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠকের ভিডিও ছড়িয়েছে, যেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের নূতনভাবে বাড়তে থাকে সংক্রমণের জন্য চরম সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং দেরী হওয়ার আগে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

“আমরা কোভিড ব্যবস্থাপনা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কিন্তু এই আত্মবিশ্বাস যেন অতিরিক্তি আত্মবিশ্বাসে পরিণত না হয়” মোদি রাজ্যগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য এবং মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জনের উপর গুরুত্ব বেশি দিতে বলেছিলেন।

এমনকি গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে থেকে এবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ৬ বার মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন যার শুরু হয়েছিল গতবছরের ২৩ শে সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ হয় ২৩ শে এপ্রিল।
বিজেপি এটাও জানিয়েছে যে গতবার সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছিলেন ৬০ টি জেলার উপর বেশি গুরুত্ব দিতে যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি বাড়ছে এবং তুলনামূলক বেশি পরীক্ষা করার কথা বলেছিলেন। এমনকি সেই একই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কোভিড- সংক্রান্ত পরিকাঠামোর জন্য রাজ্যের বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া তহবিলের ব্যবহার ৩০% থেকে বেরিয়ে ৩৫% করেছিলেন।

“তাছাড়া ১৭ই মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক তখন হয়েছিল যখন দেশে প্রতিদিন কেবল ৩০ হাজার নুতন সংক্রমণ হচ্ছিল” পার্টি বলেছে এবং “Narrative vs Truth” নামে একটি তালিকা প্রচারিত করেছে, যেটি দলের উঁচু পদাধিকারী এবং সনর্থকেরা শেয়ার করেছেন। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে মমতা ব্যানার্জি( পশ্চিমবঙ্গ) এবং ভূপেশ বাঘেল( ছত্তিসগড়) এর মত মুখ্যমন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচার ও সভার কারণে বৈঠকে যোগদান করেননি। কংগ্রেসের মুখ্য প্রচারক হওয়ার কারণে বাঘেল বহুদিন আসামে ছিলেন।

দল এটাও বলেছে যে মহারাষ্ট্র এবং কেরলের কোভিড কেস ধীরে ধীরে বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্র থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল।

বিজেপি, কংগ্রেসের ভ্যাকসিনেশনের সমালোচনার বিরোধিতা করে বলেছে লোকসভার এম পি মনীশ তিওয়ারী, মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেমন টি এস সিং দেও( ছত্তিসগড়), বনা গুপ্তা( ঝাড়খণ্ড) এরা ভ্যাকসিন প্রতিরোধের প্রচার করতে চেয়েছিল ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে।

“ভারত একটি মহামারীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে। এর বিজ্ঞানীরা সময়ের আগে ছুটেছে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য। বিভিন্ন ধাপে পুনঃমূল্যায়ন করার পর তাদেরকে জরূরী স্তরে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল যাতে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায়। এরপরও বিরোধীরা, বিশেষ করে কংগ্রেস এটা নিয়ে উপহাস করেছে। ফল: মানুষ মরেছে”। কোভ্যাক্সিনের ব্যবহার নিয়েবিভিন্ন কংগ্রেস নেতার সন্দেহ প্রকাশের ভিডিওর সাথে মাধ্যমে বিজেপি আই টি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এই টুইটটি করেছেন।

বিশ্বে ভারতের সংক্রমণ সংখ্যা সব থেকে বেশি এই ব্যাপারে উল্লেখ করে বিজেপি বলেছে “ভারতে জনসংখ্যা ইউরোপে এবং উত্তর আমেরিকার মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। সুতরাং নিছক সংখ্যার নিরিখে ভারতের সংক্রমণ অবশ্যই বেশি হবে। কিন্তু প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে ভারত এখনও বিশ্বে ১১০ তম স্থানে দাঁড়িয়ে”।

বাপ্পাদিত্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.