কাউন্টিং প্রসেসের গোলযোগে বিজেপি হারিয়েছে গোটা চল্লিশেক আসন। কিন্তু ভোটের বাকি ফলাফলটি ন্যায্য (যদি না কাউন্টিং এ ম্যাসিভ administrative কারচুপি হয়ে থাকে। কি সেই ম্যাসিভ কারচুপি এবং কেমন করে তা সম্ভব ওপেন ফোরামে তা বলতে পারি না), যে বিষয়টি অবাক করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মমতাও জানতেন না এমন জয় তিনি পেতে চলেছেন। তাই নার্ভাস ছিলেন, ক্ষুব্ধ ছিলেন, গালাগালি দিচ্ছিলেন।
কারা এমন ঢেলে এককাট্টা হয়ে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে? মুসলিমরা। আমার টাইমলাইন যাঁরা নিয়মিত ফলো করেন তাঁরা জানবেন অনেক আগেই লিখেছি যে মুসলিম ভোট ভাগ করার যে খেলা দেখানো হচ্ছে তা দেখানোর খেলা। খেলবার খেলাটি অন্য। সেখানে হায়দরাবাদ টু পশ্চিমবঙ্গ সবাই এককাট্টা। এককাট্টা হয়ে আপাততঃ মমতাকেই তাঁরা তাঁদের মুখ বানিয়েছেন। এটা strategy. তাঁরা বুঝেছেন গোটা ভারত দখলের জন্য ছোট রাজ্যের পিনারাই বিজয়নের চেয়ে মমতার ফেসভ্যালু তাঁরা বেশি রাখতে পারবেন। তাছাড়া সমুদ্র ও ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্য দিয়ে ঘেরা কেরালার চাইতে সীমান্ত খোলা পশ্চিমবঙ্গই ভারত দখলের জন্য তাদের জন্য অধিকতর উপযুক্ত। তাই বিজয়ন নয়, মমতা।
আর প্রপাগাণ্ডা ওয়ার যা হয়েছে, তা করেছে বামপন্থীরা, মমতার জন্য। নিজেদের বিলীন করে দিয়ে বিজেপিকে ঠেকাতে বাম ও কংগ্রেস মরিয়া হয়ে মিশে গিয়েছে মমতায়। তবে মমতা এতটা জানতেন না। জানতেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি জানেন, strategically হিন্দু বাঙালীর ধ্বংসের পিছনে immediate দায় থাকবে তাঁর। কোথাও কি বিবেক দংশন হয়েছে সে জন্য? সেইজন্যই কি প্রফেশন ছাড়ার কথা বলেছেন? মনে কি হয়েছে যে কাউকে কাউকে জেতাতে গিয়ে বড্ড বেশি রক্ত লেগে যাচ্ছে হাতে? পরোক্ষে?
এটা Civilizational War. ইসলামিক ওয়ার্ল্ডের গেরিলা ওয়ারফেয়ারের মুখে পড়ে গিয়েছে ভারতবর্ষ। সবার আগে মরবে হিন্দু বাঙালী। (বিজেপির ভিতরকার কিছু লোক এই কাজে জয়চাঁদের ভূমিকা পালন করেছে) বাকি ভারতবর্ষ যদি নিজেদের বাঁচাতেও পারে, হিন্দু বাঙালীকে মরতে দেখে তারপর বাঁচাবে।
Our fate is in any case sealed. এত বছরের কম্যুনিজমের ঋণ নিজেদের অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে চোকাতে হবে।
দেবযানী ভট্টাচার্য