‘এক দেশ-এক ভোট’ বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠক শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করলেন, উপস্থিত বেশিরভাগ দলই বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যে একটি কমিটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিই এই বিষয়টির বাস্তবতা খতিয়ে দেখেবে।
রাজনাথ এ দিন বলেন, “ ‘এক দেশ-এক ভোট’ চালু করতে গেলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।” এ দিনের বৈঠকে প্রধান বিরোধী দলগুলির অনেকেই উপস্থিত ছিল না। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যাবে না। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই বৈঠক বয়কট করেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব, ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। বৈঠকে যায়নি কংগ্রেসও।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তেলুগু দেশম পার্টি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু বৈঠকে না গেলেও প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।
‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়ন করতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতবারই জি মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বারবার নির্বাচন হওয়ায়, সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। থমকে যাচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজ। তার সমাধান- বিধানসভা, লোকসভা ও স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েট ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করা। সেই লক্ষ্যেই দ্বিতীয়বার সরকারে এসে সর্বদল বৈঠক ডাকেন মোদী।
‘এক দেশ-এক ভোট’ বাস্তবায়িত করতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। আর সেটা করতে হলে রাজ্যসভাতেও প্রতাব পাশ করাতে হবে মোদীকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, যেহেতু এখনও রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তাই বিরোধীদের পাশে পেতে চাইছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। তার কারণ হিসেবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এত কম সময়ে মতামত দেওয়া সম্ভব নয়। এটার জন্য দলের সাংসদ, সংবিধান ও ভোট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আগে কথা বলতে হবে।
এখন দেখার কবে কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। কী হয় দেশের নির্বাচন কাঠামোর ভবিষ্যৎ।