বাংলা খবরে দেখানো হচ্ছে ভ্যাকসিনের নাকি তীব্র অভাব দেখা যাচ্ছে। লোকজন ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। তাও ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও তাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। এই ভাবে দিনের পর দিন ভ্যাকসিন সেন্টারে গিয়েও তাঁদের বিফল হয়ে ফিরতে হচ্ছে।
ভেবে দেখুন ফেব্রুয়ারী, মার্চ এমনকি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতি কোন তৎপরতা দেখা যায় নি। ভ্যাকসিন দেওয়ার কেন্দ্রগুলি প্রায় ফাঁকা ছিল। এখন করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি হতে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দলে দলে ভ্যাকসিন নিতে ছুটেছেন। যে সেন্টারের দৈনিক সর্বোচ্চ চারশো ভ্যাকসিনেশনের ক্ষমতা সেখানে একদিনে চার হাজার লোক উপস্থিত হলে সবাইকে যে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না- এটা জলের মতো পরিস্কার। অনলাইনে টিকার জন্য বুকিং করতে গেলে দেখবেন আপনি অনেক দিন কোন স্লট ফাঁকা পাবেন না। আপনি আজকে বুক করতে গেলে ডেট পাবেন হয়তো দশ দিন পরে। অনলাইনে বুক করার এটাই সুবিধে যে কোন দিন স্লট ফাঁকা নেই সেটা আপনি আগেভাগেই জানতে পারেন। ফলে যে দিন স্লট নেই সে দিন আপনি সারাদিন অহেতুক লাইন দেন না এবং অকারণ নাকাল হন না।
এদিকে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে এখন যাঁরা উদভ্রান্তের মতো ভ্যাকসিন নিতে দৌড়চ্ছেন তাঁদের বেশীরভাগ (অন্তত 90%) অনলাইন বুকিং করছেন না। তাঁরা সবাই মিলে রাত থাকতে থাকতে লাইন দিচ্ছেন এবং ভাবছেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেই টিকা পাব। কিন্তু সারাদিন লাইন দিয়েও যখন টিকা পাচ্ছেন না তখন তাঁরা হতাশা ও ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। মিডিয়া তো নেগেটিভ খবর দেখানোর জন্য বসেই আছে। মিডিয়া প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছে যে ভ্যাকসিনের তীব্র অভাব আছে। ফলে জনগণের মধ্যে আরো বেশী বিভ্রান্তি ও হতাশা ছড়াচ্ছে।
সকলের কাজে অনুরোধ, মিডিয়ার প্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।অহেতুক হায়রানি এঁড়াতে অনলাইনে বুক করুন। যদি আপনার আর্থিক সঙ্গতি থাকে তবে দ্রুত ভ্যাকসিন চাইলে একটু পয়সা খরচ করে বেসকারী হাসপাতাল থেকেও টিকা নিতে পারেন। একান্ত পকেটের পয়সা খরচ করতে রাজী না হলে সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে টিকা নিন। তবে যে কোনদিন ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়ে লাভ নেই। অবশ্যই অনলাইনে বুকিং করে তবেই টিকা নিতে যান।