ওয়ার্ডে করোনা রোগীর সঙ্গেই তাঁর পরিজন, সংক্রমণের আশঙ্কা চুঁচুড়া হাসপাতালে

সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনস) ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন করোনা রোগী। রোগীর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আত্মীয়রাও। এই ছবি হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের। এমন ঘটনার জেরে তৈরি হয়েছে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। হাসপাতালের অন্যান্য রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও এ নিয়ে হেলদোল নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

চুঁচুড়া সদর হাসপাতালের তিন তলায় সারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীরা। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। তাঁদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে সাধারণত স্থানান্তরিত করা হয় ব্যান্ডেল ইএসআই কোভিড হাসপাতালে। পরিস্থিতি সঙ্গিন না হলে কোনও কোনও রোগীকে সেফ হোমেও পাঠানো হয়ে থাকে। সাধারণত নিয়ম এমনটাই। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে, সারি ওয়ার্ডে থাকা এক ব্যক্তির কোভিড ধরা পড়ে। তাঁকে কোভিড হাসপাতাল বা সেফ হোমে স্থানান্তরিত না করে ওই ওয়ার্ডেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আত্মীয় পরিজনরাও। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন হাসপাতালে আসা অনেকেই।

রাজ্যে গত বেশ কয়েক দিন ধরেই লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণের ছবি নজরে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলছেন। কিন্তু চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের ছবি একেবারেই বেমানান। হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মণ্ডলের অবশ্য সাফাই, ‘‘হাসপাতালের এক নার্সের ছেলে কোভিড আক্রান্ত। বার বার বলা হলেও তাঁকে কিছুতেই সরানো যায়নি। তিনি সেফ হোমে যেতে বললেও যাননি। এ বার তাঁকে জোর করেই পাঠাতে হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.