করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই বিপর্যস্ত গোটা দেশ। কোভিড চিকিৎসায় বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। এবার মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় এগিয়ে এল ভারতীয় বায়ুসেনা। সরকারকে সাহায্য করতে এবার অক্সিজেন কন্টেইনার, সিলিন্ডার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা ।

বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, আইএএফ দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা(Defence Development Research Organisation) দ্বারা নির্মিত কোভিড -১৯ অস্থায়ী হাসপাতালের জন্য কোচি, মুম্বই, ভাইজাগ এবং বেঙ্গালুরু থেকে ডাক্তার ও নার্সিং স্টাফকে আনার ব্যবস্থা করেছে। এমনকি ব্যাঙ্গালুরু থেকে অক্সিজেন নিয়ে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী ট্যুইট করে জানিয়েছে, কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইএএফ সব রকম সাহায্য করবে। গোটা দেশের করোনা হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সিং স্টাফ, জরুরিভিত্তিক মেডিক্যাল সরঞ্জাম, ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার দেশব্যাপী জনগণকে সাহায্য করার জন্যে সমস্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সার্ভিস চিফ এবং ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত সহ শীর্ষ মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের সঙ্গেএকটি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন।এই বৈঠকে রাজ্য সরকারগুলিকে সহায়তা করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানারকম আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির এই গুরুতর পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে তাদের চিকিৎসা পরিকাঠামোজনিত অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সাধারণের জন্য খুলে দিতে অনুরোধ করেছেন রাজনাথ।

রাজনাথের এই নির্দেশ পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দিল্লিতে ডিআরডিও-র ৫০০ বেডের হাসপাতাল খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য। দেশের ৬৭টি ক্য়ান্টনমেন্ট বোর্ড হাসাপাতালকে সাধারণের চিকিৎসার জন্য খুলে দিতে নির্দেশ জারি করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার। এ ছাড়া খুব শীঘ্রই লখনউয়ে আরও দু’টি হাসপাতাল সাধারণের চিকিৎসার জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.