প্রতীক্ষার অবসান! মঙ্গলের মাটিতে উড়ল হেলিকপ্টার

একবিংশ শতাব্দীর ‘রাইট ব্রাদার্স ‘র সেই ‘কিটি হওক’ উড়ানের স্মৃতি আবারও ফিরিয়ে আনল নাসা। সোমবার, দুই মোটর বিশিষ্ট, সৌরচালিত হেলিকপ্টার,’ইনজেনুইটি’কে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে ওড়াল নাসা।

শনিবারই নাসার তরফে আজ ১৯ এপ্রিল সোমবার ইনজেনুইটি প্রথমবার মঙ্গলের মাটিতে ওড়ানোর কথা জাননো হয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই পৃথিবীর কাছে তথ্য আসা শুরু হবে।ভারতীয় সময় বিকেল ৩ টে ৪৫ নাগাদ উড়ান শুরু করে। ঠিক তার সাড়ে তিন ঘন্টার পর ছবি পাঠাতে শুরু করবে এই বিশেষ যান।

ইনজেনুইটির অপারেশন লিডার টিম ক্যানহ্যাম আগেই জানিয়েছিলেন, হেলিকপ্টারের অবস্থা ভালো ছিল। ঠিকঠাকই ছিল ইনজেনুইটি। গত রাতেই তাঁরা 50 RPM স্পিন করেছেন। কপ্টারের ব্লেডগুলি খুব ধীরে ও সতর্কভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল সেগুলি কতটা হাওয়া কাটতে পারছে। রবিবার কপ্টারটির আনুভূমিকভাবে ট্রায়ালও হয়ে গিয়েছিল।

কিছুদিন আগেই হেলিকপ্টার ইনজেনুইটির ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। তবে এই হেলিকপ্টারের মঙ্গলে রাত্রিযাপন তার ক্ষেত্রে কেমন হবে সেটাই দেখার। যদিও এর মধ্যস্থ হিটার একে ৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখে। কিন্তু মঙ্গলে তাপমাত্রা রাতের দিকে মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে যায়। তাই ইনজেনুইটিকে নিয়ে চিন্তা রয়েছে বৈকি! পৃথিবীর মাটির চেয়ে মঙ্গলের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে উড়ে যাওয়া পৃথিবীতে উড়ানের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। এর মাধ্যাকর্ষণ থাকলেও তা পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া এর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র ১ শতাংশ।

পৃথিবীতে দিনের বেলা যতটা এনার্জি আসে মঙ্গলে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সৌরশক্তি প্রাপ্ত হয়। রাতে এর তাপমাত্রা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনও এর নিচেও নেমে যেতে পারে যা। যার ফলে সুরক্ষিত বৈদ্যুতিক উপাদান ক্র্যাক করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.