২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবি মানতে হবে প্রশাসনকে। সুনিশ্চিত করতে হবে ডাক্তারদের নিরাপত্তা। নইলে পদত্যাগ করবেন সব ডাক্তার। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা। সাফ জানালেন, দাবি না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বইছে গণ ইস্তফার ঝড়। পদত্যাগ করেছেন একাধিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক-চিকিৎসক এবং অধ্যক্ষরা। তালিকায় রয়েছেন বিভাগীয় প্রধানরাও। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়ররাও। ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার বিশিষ্টজনরাও। পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। সমর্থন এসেছে বিদেশ থেকেও। শুক্রবার দুপুরে এনআরএস থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিলও করেছেন ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে সেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। ছিলেন আইনজীবী এবং বাংলার বিশিষ্ট জনরাও। হেঁটেছেন বিভিন্ন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়ারাও।
ইতিমধ্যেই এসএসকেএম-এর সব বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন মোট ১৭৫ জন ডাক্তার। আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকেই ইস্তফার সংখ্যাটা শতাধিক। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও ইস্তফা দিয়েছেন মেডিসিন বিভাগের ১৬ জন চিকিৎসক। ইস্তফা দিয়েছেন ডারমাটোলজি বিভাগের ২০ জন চিকিৎসক।
শহরের পাশাপাশি গণ ইস্তফার তালিকায় রয়েছে জেলার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলোও। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, সিউড়ি মেডিক্যাল কলেজ এবং রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকেই পদত্যাগ করেছেন অসংখ্য জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তাররা। পদত্যাগ করেছেন আরজিকর, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল। এ ছাড়া বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানরাও পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের ডিরেক্টর সহ ৩৩ জন।