বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে, তা নিয়ে ভোট বঙ্গে জল্পনার শেষ নেই। একটা সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তীদের নাম জল্পনায় এলেও ‘মহারাজ’ নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেও ‘মহাগুরু’ এখন বিজেপির স্টার প্রচারক। কিন্তু ওই পর্যন্তই। প্রার্থী হলে তিনি স্বার্থপর হয়ে যাবেন, এমনই যুক্তিতে ভোটের লড়াইয়ে নামেননি মিঠুন। আর ঠিক এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সরকার চালাবেন তিনি এবং দিলীপ ঘোষ। আর শুভেন্দুর এই দাবিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
রবিবার খড়গপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন শুভেন্দু। সামনেই ১ এপ্রিল তাঁর নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোট, যদিও মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি টেনে আনেন খড়গপুর সদরের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘এখানকার উপনির্বাচনে প্রদীপ সরকারের জয় একটি দুর্ঘটনা। ওটা বাদ দিয়ে দিন। কারণ শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে ওই উপনির্বাচনে তৃণমূল বৈতরণী পার করতে পারত না। সেইসময় মমতা বেগম (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এখানে আসেননি। আর তোলাবাজ ভাইপোও আসেননি।’
এরপরই শুভেন্দু বলে ওঠেন, ‘বাংলায় এবার বিজেপি সরকার আসছেই। তা সরকার চালাব আমি আর দিলীপ ঘোষ।’ যদিও শুভেন্দু এর আগেও নিজের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে গোটা মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বালুমাটির শুভেন্দু আর লালমাটির দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাবে বলে চ্যালেঞ্জও করেছিলেন। কিন্তু একেবারে সরকার চালানোর মতো দাবি! শুভেন্দুর বক্তৃতা তাই আলাদা তাৎপর্য তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, কাঁথিতে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদির স্বয়ং ভূমিপুত্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা, রবিবার অমিত শাহের নন্দীগ্রামবাসীর প্রতি বিশেষ বার্তা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, ক্ষমতায় এলে আর শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থেকে জিতলে তাঁকে ‘বড়’ পদই দেবে বিজেপি। তবে সেটা কি মুখ্যমন্ত্রী পদ? তার উত্তর দেবে সময়। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করেছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। হার নিশ্চিত বুঝে গিয়েছে, তাই বাকি ভোটের জন্য কর্মীদের ভোকাল টনিক দিচ্ছেন।’