অন্নপূর্ণা অভিযানে যাচ্ছে বাংলার মেয়ে কিন্তু তাঁর সঙ্গী আর্থিক অনটন। একই কারণে ২০১৯তে একদম শেষ মুহূর্তে এসে ওঠা হয়নি এভারেস্টের শীর্ষে। সমস্যা করেছিল ট্রাফিকও। শেরপা নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছিল পিয়ালির। ক্রাউড ফান্ডিং করে এভারেস্ট অভিযানে শিখরের সামনে থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল পিয়ালিকে। এবার সেই সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় সে।
কারণ, ৮০৯১ মিটারের অন্নপূর্ণা জয় করতে পারলে পিয়ালীই হবে প্রথম ভারতীয় মহিলা যে অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ আরোহণ করবে। পিয়ালী জানিয়েছে, ‘খুবই কঠিন শৃঙ্গ কিন্তু আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ তৈরি আছি। কিন্তু সমস্যা সেই আর্থিক, আমি এত দিন ধরে অনেক চেষ্টা চালিয়ছি কিন্তু কোনও কর্পোরেট সংস্থা বা যারা স্পনসর করে তেমন সংস্থার সম্বন্ধে আমার ধারণা খুব কম, তাই এত চেষ্টা করেও করতে পারিনি। এবারও আমার ভরসা ক্রাউড ফান্ডিং’।
২০১৮ তে পিয়ালী ভারতের প্রথম অসামরিক মহিলা হিসেবে মানাসলু শৃঙ্গ আরোহণ করেন। পিয়ালির আরও একবার আবেদন, ‘এবারও প্রথমেই সমস্যা অর্থ। তাই যদি চান মানুষ চায় যে আমি সফল হই তাহলে আগের বারের মত্যই সাহায্যের হাত এগিয়ে আসবে।’ পিয়ালি বসাক এও জানিয়েছেন , ‘যেহেতু আমি মোট ব্যক্তিগতভাবে ১৯ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি, যার মধ্যে ৮ লক্ষ টাকা মাউন্ট মানসলু (৮১৬৩ মিটার/ ২৬৭৮১ ফিট) অভিযান ২০১৮ সাল, বিশ্বের ৮ ম সর্বোচ্চ শিখর এবং ২০১৯ সালে ১১ লক্ষ টাকা মাউন্ট এভারেস্ট (৮৮৪৮ মিটার / ২৯০৩৫ ফিট) এর জন্য, সেই কারনে আমি আর ঋণ নিতে পারব না। তাই সাহায্যের হাতই ভরসা’।
অন্নপূর্ণা আরোহণ অত্যন্ত কঠিন, কারন ঝড়, তুষারপাত এবং দুরন্ত হিমবাহ এই যাত্রাকে অত্যন্ত কঠিন এবং বিপজ্জনক করে তোলে। এর দক্ষিণ পর্বত গাত্রটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বলা হয়। সংস্কৃত ভাষায় আন্না ও পূর্ণা শব্দের অর্থ “খাবারে পূর্ণ”। পর্বতারোহীদের জন্য এটি চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া গভীর ইচ্ছা এবং ক্ষুধা সন্তুষ্ট করার অর্থ হতে পারে। হিলারি এবং তেনজিং নরগে এভারেস্টে ওঠার তিন বছর আগে ১৯৫০ সালের ৩ জুন মরিস হার্জোগের নেতৃত্বে প্রথম আরোহণ হয়েছিল। এই শীর্ষ আরোহণ এর স্বাভাবিক রুটটি তিনটি শিবির স্থাপন করে সাধিত হয় এবং সাধারণত পশ্চিম মুখ এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলকে অনুসরণ করে, যদিও এটি বিভিন্ন রুটে আরোহণ হয়েছে।