চৌরঙ্গি বিধানসভা আসনে প্রার্থী বদল করল বিজেপি। শিখা মিত্রকে সরিয়ে দিল দল। বদলে প্রার্থী হিসেবে নিয়ে আসা হল দেবব্রত মাঝিকে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ১৪৮ আসনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তাতেই চৌরঙ্গি আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শিখা মিত্র চৌধুরীর নাম তিনি ঘোষণা করেন। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে বুধবার প্রায় শেষ রাত পর্যন্ত বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব ও বাংলার নেতৃত্ত্ব বৈঠক করে এই প্রার্থী তালিকা তৈরী করেন। সেই তালিকায় তাহলে শিখা মিত্রর নাম এলো কী করে তাঁর সম্মতি ছাড়া, সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দেয়।
শিখা মিত্রকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শিখা সাফ জানান, “আমি কোনও দলের প্রার্থী নয়। ২০১৪ সালে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। আমায় না জানিয়ে এসব করা হয়েছে। না জানিয়েই চৌরঙ্গির প্রার্থী বলা হচ্ছে, আমি রাজি নই।”
শিখা মিত্রর এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই আবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপি-র মুখ পোড়ে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও এক দফা প্রার্থী তালিকা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে বিজেপি। এই দফাতে মোট ১৪৮ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি । তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ফের মুখ পোড়ে দলের।
কারণ প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রের নাম চৌরঙ্গি আসন থেকে ঘোষণা করা হলেও তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না বলে kolkata 24×7-কে জানান। এমনকী বিজেপিতে এখনও যোগও দেননি বলেও তাঁর দাবি ছিল।
এর আগে শিখা মিত্র ও তাঁর পুত্র রোহন মিত্রর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আমরা শিখা মিত্রর সাক্ষাৎকার নিয়ে ছিলাম। তখন শিখা মিত্র জানান, “আমি এখনও ঠিক করিনি আমি কংগ্রেস ছাড়বো কিনা। আমরা আসলে কংগ্রেস ঘরানার মানুষ। আমার বাবা কংগ্রেস করতেন। আমার স্বামী প্রয়াত সোমেন মিত্র। কাজেই আমি এই সিদ্ধান্তটা এতো দ্রুত নিতে পারছি না। আমি কোনও কারণে কংগ্রেসের বর্তমান প্রদেশ নেতাদের আচরণে অসন্তুষ্ট। তাই বলে আমি বিজেপিতে যাবো এমন নয়।”