কথায় বলে জলই জীবন। কথাটা যে কতখানি সত্যি তা একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ঢের বুঝতে পারছে সকলে। পৃথিবীতে যদি আবার কখনও যুদ্ধ হয় তাহলে তা হবে জল নিয়ে। আর এই জল সংরক্ষনে প্রতি বছর ২২ মার্চ পালন করা হয় ‘বিশ্ব জল দিবস’। অযথা জল অপচয় বন্ধ করতে এবংং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর এই দিনটি আন্তর্জাতিক জল দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আর এই ২৮ তম বিশ্ব জল দিবসে ‘জল শক্তি অভিযান’ প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমাদের দৈনন্দিন জনজীবনে জলের প্রয়োজনীয়তা এবং অকারণে জল নষ্ট না করে বরং জল সংরক্ষন করার বিষয়ে মানুষকে আরও বেশি সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি।
রবিবার রাতে একটি টুইট বার্তায় এই জলশক্তি অভিযান প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুর ১২:৩০ টায় ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি। এবছর বিশ্ব জল দিবসের থিম হল, “বৃষ্টির জলকে ধরুন, যেখানে পড়ছে, যখন এটা পড়ছে। ” ( catch the rain, where it falls, when it falls)।
শুধু তাই নয়, রবিবারের টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আগামীকাল বিশ্ব জল দিবসে বেলা সাড়ে বারটায় ‘ক্যাচ দ্য রেইন’ অভিযান শুরু হবে। বৃষ্টি ধরার মূল প্রতিপাদ্য ভিত্তিতে এই অভিযানটি সারা ভারতজুড়ে হবে। ‘বৃষ্টি যেখানে পড়েছে, কখন পড়েছে।’ এটি আমাদের দেশে জল সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার কর তুলবে। “
সোমবার এই বিশ্ব জল দিবসে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক এবং উত্তরপ্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ সরকার ভার্চুয়ালি ‘কেন-বেতওয়া’ নদী সংযোগ প্রকল্পের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।
এছাড়াও এই অভিযানটি চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। প্রচারের মূল উদ্দেশ্যটি হল, “বৃষ্টি ধরুন, কোথায় পড়বে, কখন পড়বে”। এই অভিযানের মূল লক্ষ্যই হল সারা দেশে বৃষ্টিপাতের জল সংগ্রহ পদ্ধতিকে জোরদার করা, সচেতনতা এবং জল সংরক্ষণ বাস্তবায়ন করা।
আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই জলশক্তি অভিযান প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে সারাবছর জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে যেমন চাষের কাজে সুবিধা হবে তেমনই গ্রীষ্মে জলকষ্টের হাত থেকে বাঁচবে প্রচুর মানুষ। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভিশনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।