সাল ১৯২৩।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের কাকিনাড়া অধিবেশনে জাতীয় স্তোত্র পরিবেশন করতে এসেছেন ক্লাসিক্যাল সংগীত জগতের কিংবদন্তি পন্ডিত বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকর। তিনি মঞ্চে উপবেশন করে গাইবার উপক্রম করা মাত্র তাকে বাধা দেওয়া হলো। পন্ডিতজী সবিস্ময়ে শুনলেন,জনৈক সদস্য তাকে রাগী রাগী মুখে বলছেন, “না, আপনি ওই সংগীতটি গাইবেন না। ওই গান আমাদের ধর্মীয় ভাবনাকে সরাসরি আঘাত করে।”
পন্ডিতজী দমবার পাত্র নন। সংগীতের ভাষা কিভাবে ধর্ম-বর্ন- পন্থ-মতাদর্শে খন্ডিত হতে পারে, সমগ্র জীবন ব্যাপী সুর সাধনার পরও সম্ভবত বোঝেন নি তিনি।
দৃঢ় কন্ঠে জবাব দিলেন ধ্রুপদী সংগীতের ধ্রুবতারা, “এই গানটি গাওয়ার জন্যই আমি আজ বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হয়েছি। অতএব, গানটি আমি গাইবোই।” এই কথা শুনে উক্ত ব্যক্তি ক্রুদ্ধভাবে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এবং যতক্ষন জাতীয় স্তোত্র চললো, তিনি বাইরেই রইলেন।
এতক্ষণে, সকলের মনে যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে, কে এই ব্যক্তি? কি সেই গান? কেনই বা এই ব্যক্তির কর্ণকুহরে ওই গানের প্রবেশে এমন কড়া নিষেধাজ্ঞা?
ইনি হলেন কাকিনাড়া অধিবেশনে নির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি এবং গান্ধীজির ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত মৌলানা মহম্মদ আলী। গানটি ‘বন্দেমাতরম’। বহুবন্দিত তবু বহুনিন্দিত। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী সৃষ্টি। ভারতবর্ষে সংখ্যালঘু মৌলবাদের সামনে নতজানু হওয়ার দীর্ঘ অধ্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠা সেদিনই উন্মোচিত হয়ে গিয়েছিলো, সেদিন ওই ভরা সভায় একজনও কেউ ছিল না,যে উঠে দাঁড়িয়ে মৌলানাকে বলবে, “জনাব, এই গান আমাদের জাতীয় সংগীত। কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে এই গানের ব্যাপারে আপত্তি জানানো আপনার অনুচিত। সার্বজনীন রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আপনি স্বদেশভাবনার উর্দ্ধে গোষ্ঠী ভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে পারেন না।”
এদেশের দুর্ভাগ্য সঠিক স্থানে সঠিক কথা বলার মানুষ প্রায় দুষ্প্রাপ্য। ইতিপূর্বে, ১৯১৯-২০ সালের খিলাফত আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন মহম্মদ আলী। আফগানিস্তানের আমির ভারত আক্রমণ করতে পারে এমন একটা গুঞ্জন উঠলে মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, ”যদি আফগানরা ভারত দখলের পবিত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, ভারতীয় মুসলিমরা শুধু তাদের সহায়তাই করবে না। বরং হিন্দুরা যদি বাধা দেয়, তবে হিন্দুদের সাথে যুদ্ধও করবে।” ঊষর মরুদেশের আফগানদের কাছে, “নমামি কমলাং অমলাং অতুলাম্ , সুজলাং সুফলা মাতরম্ , বন্দে মাতরম, শ্যামলাং সরলাং, সুস্মিতাং ভূষিতাম্ ধরনীং ভরণী মাতরম্।” অর্থহীন। ভারতে বসবাসকারী আফগানদের মতাদর্শতুতো ভাইজানদের কাছেও তা সমানভাবে বর্জনীয়।
তৌহিদি জনতা সানাইয়ের পোঁ ধরলে, বাধ্য ছেলের মত তবলায় সঙ্গত দিতে হাজির থাকে কমিউনিস্টরা, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ২০ শে মার্চ, ১৯৩৭ ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ কাউন্সিল’ বন্দে মাতরমকে কংগ্রেস কর্তৃক ‘জাতীয় স্তোত্র’ ঘােষণার তীব্র বিরােধিতায় একটি রেজোলিউশান পাশ করে। এই রেজোলিউশানে আরাে বলা হয়, বন্দে মাতরম শুধু ইসলাম বিরােধী এবং মূর্তিপুজক সংগীতই নয়, ভারতে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষের পথে বড়াে বাঁধাও। ১৯৩৪ সালে মহম্মদ আলী জিন্নাহ একটি আর্টিকেলে লেখেন, “Muslims all over india have refused to accept Vande Mataram or any expurgated edition of the anti-Muslim song as a binding national anthem.”
কমরেড অজয় কুমার ঘােষ (যিনি ১৯৩১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টিতে যােগদান করেন এবং ১৯৫১ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন) ন্যাশানাল ফ্রন্ট পত্রিকায় লেখেন, যদিও মুসলিম লীগের কিছু দাবী যেমন সরকারী চাকরীতে অধিক পদ, যেখানে মুসলিমরা সংখ্যায় কম সেখানে উর্দু ভাষা, মুসলিম সংস্কৃতি শেখানাের স্কুল স্থাপন কিঞ্চিৎ অযৌক্তিক, তবুও কংগ্রেসের এগুলাে মেনে নিতে প্রস্তুত হওয়া দরকার। গাে-হত্যা বন্ধ করার বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজের প্রতিবাদ, মজসিদের সামনে গান বাজনা বন্ধের দাবী, এইসবের যত শীঘ্র সম্ভব নিষ্পত্তি করা উচিত। তিনি আরাে বলেন, কংগ্রেসকে হিন্দু ভাবধারা থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসতে হবে। কংগ্রেসী সন্মেলনে আধা ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহে নিষেধাজ্ঞা জারী করতে হবে। সর্বোপরি, কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বন্ধ করতে হবে।
স্বাধীনতা-যজ্ঞের মন্ত্র হয়ে উঠেছিল যে বন্দেমাতরম্ সেই গানকে ‘বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগ’ -এর চাপে জাতীয় সঙ্গীত করা যায়নি। ইঙ্গিত ছিলো, বন্দেমাতরম ‘পৌত্তলিকতা’ র দোষে দুষ্ট, সুতরাং ধর্মবিশেষের চোখে হারাম। উপরন্তু, ঐ গানের উৎস ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি নিয়েও বিশেষ সম্প্রদায়ের অন্তহীন অভিযোগ ছিল। ‘ও-গানটিও মর্যাদা পাবে খন’ মর্মে বিতর্কে সাময়িকভাবে যতিচিহ্ন পড়লেও বন্দেমাতরম আর কোনদিনই হৃত গৌরব ফিরে পায় নি। আপামর ভারতবাসী জেনেছিল, জাতীয় স্তোত্র (National anthem) কোনটি? উত্তর ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’। স্বল্প মর্যাদা পেয়ে বন্দেমাতরম হয়েছে জাতীয় সংগীত (National song)।
১৮৯৬ সালে জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে বন্দেমাতরম গানটি প্রথম গেয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের প্রাণ ভোমরা ছিলো এই গান। পরবর্তীতে খোদ রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশাতে বন্দেমাতরমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি নিজে মত প্রকাশ করেছিলেন, দেবী মূর্তির কল্পনা আছে গানের যে অংশে, সে অংশে এক সম্প্রদায়ের ভাবাবেগ আহত হচ্ছে, সুতরাং ঐ অংশ বর্জন করাই শ্রেয়। ১৯৩৭ সালে অক্টোবর মাসে কংগ্রেসের অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথের পরামর্শেই সম্পুর্ন গানটি নয়, প্রথম দুটি স্তবককে ‘জাতীয় সংগীত’ বলে উল্লেখ করে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। নির্দেশ ছিল, এই সংগীতে উঠে দাঁড়ানো বা গান গাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যার ইচ্ছে হবে গাইবে, যার ইচ্ছে হবে উঠে দাঁড়াবে। গানটা তখনই কাঁচি-ছাঁটা হয়, মর্যাদাভ্রষ্টও হয়।
ইতিপূর্বে বন্দেমাতরমের অঙ্গচ্ছেদের বিরোধিতা করেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। দ্বিধাগ্রস্ত নেতাজী এবং নেহেরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতামত চান। সুভাষকে লেখা এক পত্রে কবিগুরু জানান “The core of Bandemataram is a hymn to goddess Durga: this is so plain that there can be no debate about it… no Mussulman can be expected patriotically to worship the ten-handed deity as ‘Swadesh’….The novel Anandamath is a work of literature, and so the song is appropriate in it. But, Parliament is a place of union for all religious groups, and there the song cannot be appropriate. Since there are strong feelings on both sides, a balanced judgment is essential. In pursuit of our political aims we want peace, unity and good will — we do not want the endless tug of war…”
পরে স্বাধীন ভারতের শাসকগোষ্ঠীও আর এই গানকে জাতীয়
স্তোত্র (National anthem) -র মর্যাদা দেননি, প্রায় ঐ একই যুক্তিতে। সেই পর্বে রবীন্দ্রনাথের ঐ পরামর্শের বিরোধিতা করে আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পাদকীয়তে লিখেছিলো, ‘’বঙ্কিমচন্দ্রের রচনায় হস্তক্ষেপ অনুমোদন করিয়া রবীন্দ্রনাথ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করিয়াছেন, তাহার কুফল যে শেষ পর্য্যন্ত তাঁহার উপরে আসিয়াও বর্তাইতে পারে, তিনি ভাবিয়া দেখেন নাই।’’
আনন্দবাজারের ভবিষ্যৎবাণী কতদূর সত্য, পূর্ব দিকের খলজিপ্রেমী প্রতিবেশী সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মানুষ মাত্রেই তা জানেন। ১৯৩৭ সালে বন্দেমাতরম বিতর্কের মধ্যেই প্রাদেশিক নির্বাচনে কংগ্রেসের রাজনৈতিক অদূরদর্শীতার সুযোগ নিয়ে বাঙ্গালার রাজনৈতিক ক্ষমতার চালচিত্রে প্রবেশ করে মুসলিম লীগ। গান্ধীর সৌজন্যেই ভেস্তে যায় কংগ্রেস-কেপিপি সমঝোতা। নেতাজীর মত অসাম্প্রদায়িক মানুষও গুরুতর অভিযোগ করেন “মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সাহেব মনে করেন যে, যে প্রদেশে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ সে প্রদেশে সাম্প্রদায়িকতা দোষে দুষ্ট হইলেও মুসলমান মন্ত্রীসভা রাখিতে হইবে।” ১৯৩৭ ছিলো ভারতীয় রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। আর এই সংকট বিন্দুতেই উত্থান হলো মুসলিম লীগের।
দেশকে দেবীমাতৃকা রূপে দেখতে যে গোষ্ঠীর আপত্তি,তারা অন্তত নেতাজীর ‘লিগ্যাসি’ বহন করে না। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ২৯ শে ডিসেম্বর, ১৯২৯, মেদিনীপুর যুবক-সম্মিলনীতে সভাপতির ভাষণে বলেছিলেন, “মা আমাদের আবার রাজরাজেশ্বরীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবেন। এখনকার কাঙ্গালিনী মাকে ষড়ৈশ্বর্য্যসম্পন্না দশভূজার রুপে দেখিয়া আমাদের চক্ষু সার্থক হইবে, জীবন ধন্য হইবে।” মৌলবাদী জনগোষ্ঠীর চক্রান্তে যে যশোর, খুলনা আজ আর ভারতে নেই সেই যশোর-খুলনা যুব-সম্মিলনীতে সভাপতির অভিভাষণ (২২শে জুন,১৯২৯) -এ নেতাজী বলছেন, “আমরা আর ক্ষণমাত্র বিলম্ব না করিয়া শ্রদ্ধাবনত মস্তকে গললগ্নীকৃতবাসে মাতৃচরণে সমবেত হইয়া করজোড়ে বলি,পূজার সমস্ত আয়ােজন সম্পূর্ণ; অতএব জননী! জাগৃহি৷” সে যুক্তিতে বন্দেমাতরমকে নিয়ে আপত্তি, সেই একই যুক্তিতে তবে নেতাজীও যথেষ্ট সেকুলার নন! তার অভিভাষণের ছত্রে ছত্রে দেবী দশভুজার কথা।
যাদের দাবীপূরণে বন্দেমাতরম এর ব্যবচ্ছেদে সায় দিয়েছিলেন গুরুদেব, তাদের উত্তর প্রজন্মের শ্রেণী ঘৃণা থেকে রেহাই পাননি তিনি নিজেও। কালক্রমে, মহান কবি পরিচিত হয়েছেন ‘মালাউন’ কবি নামে। যদিও গুরুদেবের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতায় কোন খাদ ছিলো না, তাঁর অভিসন্ধিতে সম্প্রীতির ভাবনা ছিলো। কিন্তু, তাঁর তথা দেশের দুর্ভাগ্য, ওদের সাথে সখ্যতা করতে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে ফিরতে হয়েছে রিক্তহস্তে। এ কাহিনীর নটে গাছ আজ অবধি মুড়ালো না। খন্ডিত বন্দেমাতরমের গায়ে প্রায়শই ফতোয়ার কালি পড়ে। ওঠে আপত্তি। নানাবিধ কুতর্ক জোটে।
সহাবস্থানের অছিলায় নিজস্বতার সাথে আপোষ করলে না গড়ে ওঠে সহাবস্থান, না রক্ষিত হয় নিজস্বতা। মিশ্র সংস্কৃতি বা ‘কম্পোজিট কালচার’ তখনই গড়ে ওঠা সম্ভব যখন অপরপক্ষ “ভারতীয় সংস্কৃতির মৌলিক সত্য অবশ্যই স্বীকার করবে।” এই ছিলো ঋষি অরবিন্দের উপলব্ধি। তাঁর নির্ভুল ভবিষ্যৎ বাণীতে মিশেছিলো সতর্ক বার্তাও। “যদি ভারতীয় জাতীয়তাবাদে হিন্দু দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্ব না পায়, তবে হিন্দুদের হয়ত নিজেদের সংস্কৃতি ত্যাগ করতে বলা হবে৷ অর্থাৎ, আমরা সবাই মহম্মেদীয়ান হয়ে যাবো৷ তারা হয়ত এখনই এটা বলছে না কিন্তু পরে বলবে৷ কারণ তারা এখন থেকেই জাতীয়ক্ষেত্রে হিন্দু দেবীর উপাসনাতে আপত্তি জানাতে শুরু করেছে৷” ঠিক তার ৩৮ বছর পর ১৯৭৭ সালে সংবিধানে “সেকুলার” শব্দ যোগ করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ থেকে হিন্দু সংস্কৃতিকে বিচ্ছিন্নকরনের প্রক্রিয়া শুরু হলো। অথচ, সনাতন ধর্ম না থাকলে এই ভারত রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকে না। যেখানে যেখানে সনাতনধর্মীরা সংখ্যালঘু হয়ে গেছে, সেই সেই অংশ ভারতে নেই অথবা ভারতে থেকেও ভারতে নেই। এরপর, গঙ্গা-যমুনা-গোদাবরী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। সেদিন বন্দেমাতরমের প্রশ্নে আপোস করার অবশ্যম্ভাবী ফল আজ শিক্ষাঙ্গনে সরস্বতী পুজোর বিরোধিতা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে সেকুলারিজমের ‘balanced judgment’!
রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই ধূর্ত ভাবাবেগবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া শুরু হয়েছে। আদি নীতিনির্ধারকরা যদি প্রথম রাতেই মেকি গোষ্ঠী-ভাবাবেগকে কড়া হাতে দমন করে ইতিহাসের সত্য আবেগকে চরম মর্যাদাটি দিতে পারতেন, তাহলে হয়ত স্বাধীন ভারত-রাষ্ট্রের গতিপথ অন্যরকম হতো। তারা যদি সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের প্রশ্নে অনমনীয় থাকতেন, তবে ভারতের ভাগ্যলিপি আরো একটু ভালো হলেও হতে পারতো। কে না জানে, ঘরে কালনাগিনীর প্রবেশের জন্য ছোট্ট একটা ছিদ্রই যথেষ্ট। সংকীর্ণ ভাবাবেগ, বিশেষত তা যদি আব্রাহামিক ধর্মান্ধতা হয়, তা আদতে একটি বাঘ, যার পিঠে একবার চড়লে আর নামা যায় না। ইতিহাস সাক্ষী।।
তথ্যসূত্র:-
১. Bunch of thoughts, M S Golwalkar
২.Sri Aurobindo, Mahomedans, and Hindu-Muslim Unity, Hari Ravi Kumar
৩.Selected Letters of Rabindranath Tagore, edited by K. Datta and A. Robinson, Cambridge University Press
৪.communist movement and communal question in india, Habib Manjar
৫. শ্যামাপ্রসাদের ব্যর্থ বলিদান,শান্তনু সিংহ
৬. Evening talks with sri aurobindo, A B Purani
৭. নূতনের সন্ধানে,সুভাষ চন্দ্র বসুর বক্তৃতাসমগ্র,গোপাল লাল স্যানাল