টলিপাড়াতে একের পর এক অভিনেতা অভিনেত্রীরা দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছেন। ভোটের বাজারে স্পষ্ট ফুলবদলের লড়াই। সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে সকলেই প্রস্তুত।
বিজেপিতে যোগ দিলেন সিঙ্গুরের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ী, ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিলেন তাঁরা। ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী। তবে আজকের সবথেকে বড় চমক দিয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। নারী দিবসের দিন হেস্টিং হাউসে এসে তিনি হাতে তুলে নেন পদ্ম ফুল।
দিলীপ ঘোষ জানান যে প্রার্থী হওয়ার লোভে কেউ আসেননি। মানুষের জন্য কাজ করতেই সকলে নিজের ইচ্ছেতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ফের টলিউডের আরও এক তারকা যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। বেশ কিছুদিন ধরেই তনুশ্রী চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সোমবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তনুশ্রীকে। তবে আজ সরাসরি দলীয় রাজনীতিতে নাম লেখালেন তনুশ্রী। একটা সময় রুদ্রনীলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তনুশ্রীর। সেই সম্পর্কের ঘনত্ব বেশ গাঢ়ছিল, শোনা যায় রুদ্র একবার অনেকদিন হাসপাতালে ছিল আর তখন দিন রাত এক করে রুদ্রর মাথার গোড়ায় বসে থাকতেন তনুশ্রী। তারপর অনেকদিন হয়ে গেল রুদ্র-তনুশ্রীর সম্পর্ক ভেঙে গেছে। নতুনভাবে শুরু করেছেন দুজনেই, কিন্তু আচমকা রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা একই রাস্তাতে শুরু করলেন এই দুই তারতা।
নেতা, মন্ত্রীদের পাশাপাশি জোড়াফুলের প্রার্থী তালিকায় দেখা যায় টলিউডের একাধিক তারকাকে। রাজ চক্রবর্তী থেকে সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত, জুন মালিয়া, লাভলী মৈত্রদের দেখা যায় বিভিন্ন আসন থেকে লড়াই করতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, আসানসোল দক্ষিণ, বারাকপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই নিয়ে সাংসদ দেব জানান যে দল যাঁদের ভাল মনে করেছে তাঁদের প্রার্থী করেছেন। সকল কর্মীদের তাঁদের হয়েই প্রচার করা দরকার বলে জানান।