আগামী শুক্রবার নন্দীগ্রাম বিধানসভা (Nandigram Assembly) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। সেদিন তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য পদযাত্রা হবে। সেই পদযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দুই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) ও ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। মোটামুটি এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে শুভেন্দু অধিকারীর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার মিছিল হতে চলেছে বর্ণাঢ্য।
নন্দীগ্রাম এবার এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবার নন্দীগ্রাম বিধানসভার প্রার্থী। তাঁর বিপরীতে প্রার্থী হলেন তৃণমূল নেত্রীর প্রাক্তন সহযোদ্ধা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দু অধিকারী তাঁর প্রাক্তন সুপ্রিমোকে নন্দীগ্রামে আধ লাখ ভোট পরাজিত করার পান করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “মাননীয়াকে আধ লাখ ভোট হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” তাই এবার রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র হলো নন্দীগ্রাম। রাজ্যের সবার নজর তাই এবার নন্দীগ্রামে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “ভবানীপুরে আপনার স্কুটি ভালোই চলছিল। দেখলাম আপনার স্কুটি নন্দীগ্রামের দিকে মুখ ঘুরালো। আপনার স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে উল্টে যায় আমাদের দশ দেবেন না। আমরা কিন্তু আপনার ভালোই চাই।” প্রধানমন্ত্রী ব্রিগেডের সভায় যখন এই মন্তব্য করছিলেন তখন শুভেন্দু অধিকারীর মুখে হাসির ছটা দেখা যাচ্ছিল। পি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রকে এবার বিজেপি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে। আর দেখবে বা নাই কেন। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রাক্তন সেনাপতি এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পসম্পর বিরোধী নির্বাচনী যুদ্ধে এবার যোদ্ধা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে কলকাতা নারীদের দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে পরাজিত করার প্রসঙ্গে অসুর নিধনের প্রসঙ্গ টেনে নিজের দলকে দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এবার বাংলার ভোটে তৃণমূলের স্লোগান, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।” কাজেই নারী শক্তির দ্বারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের যুদ্ধে জয়লাভ করতে চাইছেন। আর সেই নারী শক্তির উৎস তৃণমূলে যে তিনিই সেটাও তিনি “আমিই সব আসনে প্রার্থী” বলে বারবার বোঝাচ্ছেন।তাই নন্দীগ্রামে নারী শক্তির উত্থান হয় কিনা সেটাই দেখার।