মঙ্গলবার নর্থইস্টের (North East United) বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও সম্ভবত খেলবেন না সন্দেশ জিঙ্ঘান ও এডু গার্সিয়া। তবে ফিরছেন তিরি। সন্দেশের আজ প্র্যাকটিসে নামার কথা। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এডু খেলছেন না।
মুম্বইয়ের বিপক্ষে খেলার সময় পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন সন্দেশ। সেই চোট থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি। এখন খেলতে নামলে যদি সেই জায়গায় ফের চোট পান তাহলে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে, আপাতত সন্দেশকে বাইরে রাখা হবে। এডু গার্সিয়া গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। তাই তাঁকেও বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক সিনিয়র ফুটবলার বলছিলেন, “আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে, সন্দেশ ও এডু গার্সিয়ার ক্ষেত্রে অযথা ঝুঁকি নেবে না। দু’জনের চোট খুব মারাত্মক তা নয়। কিন্তু ফের সেই জায়গায় লেগে গেলে ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে। সামনে ফাইনাল আছে। তার উপর আছে এএফসি কাপের (AFC Cup) খেলা। তাই কেন অযথা বাড়তি ঝুঁকি নেওয়া হবে?”
তিরি ফিরছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গী হবেন কে? শোনা যাচ্ছে, প্রীতম কোটালকে খেলানো হবে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে প্রীতম ও কার্ল ম্যাকিহিউগ খেলেছিলেন। তিরি ফেরায় কার্লকে মাঝমাঠে তুলে আনা হবে। তখন মাঝমাঠ ও ডিফেন্সের মধ্যে একটা ভারসাম্য চলে আসবে।
মঙ্গলবার জেতা নিয়ে নিশ্চিত এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) শিবির। যদিও মুখে কেউ কিছু বলছেন না। তবে আকারে-ইঙ্গিতে দলের কোচ থেকে ফুটবলাররা মনে করছেন, ফাইনালে খেলা তাঁদের আটকাবে না। হাবাস বলেই দিয়েছেন, “প্রথম ৭০ মিনিট আমরা নিঃসন্দেহে ভাল খেলেছি। তারপর ওরা চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তা সত্ত্বেও বলছি, ওরা মোটেই সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তারা শুধু ফ্রি-কিক ও লং বলে খেলেছে। মঙ্গলবার ফের তাদের বিপক্ষে নামব। তখন মনে হয় না ওরা আমাদের রুখতে পারবে।” গত মরশুমে প্রথম সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরুর কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল হাবাসবাহিনী। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রয় কৃষ্ণরা ৩-১ গোলে জিতে ফাইনাল খেলে। অতীত রেকর্ডই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে।