এ দিন টাইটানিকের শহরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ভারতের জন্যও রান তাড়া করা খুব একটা সুবিধার হবে না। শুরুতে তেমনটা মনে হলেও নিজের ব্যাটিং দিয়ে রান চেজ সহজ করে দিলেন রো-হিটম্যান শর্মা। তাঁর সেঞ্চুরিতে ভর দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হলো ভারতের।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাট নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শুরু থেকেই বুমরাহর বল খেলতে সমস্যা হচ্ছিল দুই ওপেনার হাশিম আমলা ও ডি ককের। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই আমলাকে আউট করেন বুমরাহ। দু ওভার পরেই ডি ককের উইকেটও তুলে নেন বুমরাহ। তারপর পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক দু প্লেসি ও ভ্যান ডার ডুসেন। ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। কিন্তু তারপরেই নিজেদের রূপে ফিরে আসেন ভারতের দুই রিস্ট স্পিনার চাহাল ও কুলদীপ। দু প্লেসিকে ৩৩ ও ডুসেনকে ২২ করে আউট করেন চাহাল। অন্যদিকে ডুমিনিকে আউট করেন কুলদীপ।
পাঁচ উইকেট পরে যাওয়ার পর পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন মিলার ও ফেকলুকোয়াও। মিলার ৩১ রানের মাথায় চাহালকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ফেকলুকোয়াওকে ৩৪ রানের মাথায় চাহালের বলেই স্ট্যাম্প করেন ধোনি।
শেষদিকে ভালো খেলেন মরিস ও রাবাদা। বিশেষ করে মরিস বেশ কিছু চার ছয় মারেন। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২০০ পার করে। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। মরিস রান ৪২ রান করে আউট হন। রাবাদা ৩১ করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ধীরে করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও শিখর। কিন্তু ৮ রানের মাথায় রাবাদার শিকার হন ধাওয়ান। কোহলি কিছুটা সেট হলেও ১৮ রানের মাথায় ডি ককের দুরন্ত ক্যাচে তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। লোকেশ রাহুলও ২৬ করে আউট হন।
কিন্তু একদিকে টিকে ছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথমে কোহলি, তারপর রাহুল ও তারপর ধোনি। সবার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়লেন। নিজের খেলা চালিয়ে নিয়ে গেলেন। সেইসঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ও ওয়ান ডেতে নিজের ২৩ তম সেঞ্চুরি এ দিন করলেন রোহিত। সেঞ্চুরির নিরিখে সৌরভের রেকর্ড ভাঙলেন হিটম্যান। তাঁর ব্যাটে ভর করেই এ দিন ম্যাচ জিতল ভারত।
শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত। ১২২ করে অপরাজিত থাকলেন রোহিত। সেইসঙ্গে এ দিনের হারের পর বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার।