রাম নাম শুনলে ভূত পালায় এটা সবাই জানত কিন্তু রাম নাম শুনলে যে মানুষ ক্ষেপে যায় সেটা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী না থাকলে কী হয়ত জানতে পারত না। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে ফেণী ঝড় এসেছিল। ফেণী ঝড়ের সাথে মোকাবিলা করে মমতা ব্যানার্জী খড়গপুর থেকে চন্দ্রকোনা যাওয়ার পথে কয়েকজন গ্রামবাসী ওনার কনভয়ের সামনে ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগান দিয়েছিল। আর এই গুরুতর অপরাধ করার জন্য তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে তিনজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন থেকেই মমতা ব্যানার্জী সমেত গোটা তৃণমূল দলই রাম নাম শুনলেই ক্ষেপে যাচ্ছে।
এরপর গতকাল নৈহাটিতে দলীয় কাজে গেছিলেন মমতা ব্যানার্জী। সেখানেও ওনাকে দেখে কয়েকজন মানুষ জয় শ্রী রাম বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। ব্যাস মমতা ব্যানার্জী গাড়ি থেকে নেমে হাজার হাজার জনতার সামনে গুণ্ডাদের মত হুমকি দিয়ে সবার বাড়ি বাড়িতে চেকিং করাবেন বলে দেন। এরপর আজ সকালে ভাটপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে জয় শ্রী রাম বলার অপরাধে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তৃণমূলের অত্যাচার এখানেই থেমে থাকেনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় বীরভূমের সংরা পঞ্চায়েত এলাকার ধোবাজল গ্রামে শিবনাথ ঘোষ নামে ষাটার্ধ এক ব্যাক্তি আচমকাই জয় শ্রী রাম বলে ওঠেন। গতকাল তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিলেও, আজ সকালে শিবনাথ ঘোষের স্ত্রী নীলাবতি ঘোষ (৫০) জল আনতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি সুবোধ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী নীলিমা মণ্ডল ওনাকে সর্বসমক্ষে বিবস্ত্র করে মারধর করে। এই ঘটনার পর বৃদ্ধ দম্পতি আমোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে তৃণমূলের ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও ওই বৃদ্ধ দম্পতির আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাঁইথিয়া ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রশান্ত সাধু। ওনার মতে এটি কোন রাজনৈতিক সংঘর্ষই না। এটি পাড়ার টিউবয়েল থেকে জল নিয়ে হওয়া সংঘর্ষ। বিজেপি ইচ্ছে করে এটিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে।