প্রাথমিক টেটে প্রার্থী নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে দায়ের হল মামলা।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে হবে মামলার শুনানি। মামলাকারীদের অভিযোগ, অনিয়ম হয়েছে মেধাতালিকায়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিয়োগের বেশ কয়েকটি ধাপ শেষ করে ফেলেছে পর্ষদ। ২০১৪ র সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল পর্ষদের তরফে। প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাই আবেদনের যোগ্য বলে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ১৬ তারিখ ওই মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। এরপরই তালিকায় একাধিক অসঙ্গতি থাকার অভিযোগে, আদালতের কড়া নাড়লেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বাম ও কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ভোটের দিকে তাকিয়ে এই ‘ভোটমুখী’ নিয়োগ হচ্ছে। কর্মপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার।
একই অভিযোগে সরব বিজেপি। কোন মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেলেন এই ১৬,৫০০ জন? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দিলীপ বাবুর ঘোষণা, “ক্ষমতায় আসলে TET-এ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত কমিশন বসাবে বিজেপি।”
অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েও অনেকের চাকরি হয়নি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে বাংলা মাধ্যমের চাকরি প্রাথীদের কাউন্সেলিং চলছিল বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের শাখায়। পর্ষদের ওয়েবসাইটে রোল নম্বর অনুযায়ী সফল প্রার্থীরা উপস্থিত হন কাউন্সেলিং-এ। কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর কয়েকজন প্রার্থীকে ভিতরে ডেকে নিয়ে বাকিদের পরে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়। প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হন শতাধিক ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী। যথাযথ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্দিষ্ট দিন জানানো নাহলে তাঁরা যাবেন না বলে সন্ধে পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। একই চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়িতেও। কাউন্সেলিংয়ে ডেকেও তা বাতিল করার অভিযোগ পর্ষদের বিরুদ্ধে।