২২ মার্চ ডানলপের সাহাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন খবর, ২৮ মার্চ ফের বাংলায় সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, সেদিনও বাংলায় একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস করতে পারেন তিনি। তার পর ৭ মার্চ ব্রিগেডে মেগা সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।
ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় সফরে আসবেন, তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। সেটাই দস্তুর। কিন্তু বিষয় হল, ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর কোনও সরকারি অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন, শিল্যান্যাস বা প্রকল্প ঘোষণা করা যায় না। এর থেকেই মনে করা হচ্ছে যে, তা হলে প্রধানমন্ত্রীর ২৮ ফেব্রুয়ারির সফরের পরই হয়তো ভোট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
ডানলপের সাহাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সভার আয়োজন চলছে পুরোদমে
এর আগে কাল বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন। সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এদিন টুইটও করেছেন।
একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করবে, এমন কোনও পরিকল্পনা শোনা যায়নি। ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড রয়েছে। তার ঠিক পরের রবিবারই ব্রিগেড করতে চলেছে বিজেপি। সেদিন ব্রিগেডে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
একটা সময় ব্রিগেড সমাবেশ দিয়েই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শক্তি প্রদর্শন করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার সিপিএমের মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন ব্রিগেডে। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা ব্রিগেড ডেকে মাঠ ভরিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। জ্যোতি বসু বলেছিলেন, সুভাষ না থাকলে এটা হতই না।
প্রতি ভোট এবং রাজ্য সম্মেলনের আগে ব্রিগেড করে বামেরা। এই রেওয়াজ বাকিদের নেই। ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ ব্রিগেডে করেছিল তৃণমূল। তারপর আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড দেখা যায় উনিশ সালের ১৯ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের লোকসভার আগে বাংলায় প্রথম ব্রিগেড করেছিল বিজেপি। সেখানেও মোদী ছিলেন। উনিশের লোকসভার আগেও ব্রিগেড করেছিল গেরুয়া শিবির। সেখানে হ্যাঙ্গার টাঙিয়ে মিটিং করা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। ৭ মার্চ ফের ব্রিগেডের প্রস্তুতি গেরুয়া শিবিরে। যখনই ভাল গরম থাকবে কলকাতায়।