দেশে অনেকটাই কমেছে করোনার প্রভাব৷ ধীরে ধীরে করোনামুক্তির পথে ভারত৷ যদিও দৈনিক সংক্রমণ এখনও ১০ হাজার বা তার কিছু বেশি থাকছে গত কয়েকদিন ধরেই৷ এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের করোনার নয়া স্ট্রেন৷
সেই কারণেই এবার ফের খানিকটা কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্রীয় সরকার৷ করোনার গ্রাস থেকে বাঁচতে এবার আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য নয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওরস (এসওপি) বা নির্দেশিকা জারি করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
দেশে করোনার সংক্রমণে কিছুটা লাগাম পরানো গেলেও ইউরোপ ও আফ্রিকার একাধিক দেশে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ প্রতিদিন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে৷ ভারতের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই৷
কিন্তু বাইরের দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণ নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে এদেশেও৷ মধ্য প্রাচ্যে ফের প্রভাব বাড়িয়েছে অতিমারী৷ সেই কারণেই এবার সেই সব দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করেছে আসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক৷
কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বাইরের দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের প্রথমেই এয়ার সুবিধা পোর্টালে গিয়ে নিজেদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ভারতে আসার তিন দিন আগে করানো করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা করতে হবে৷ এদেশে ঢোকার পরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে জানাতে হবে৷ হঠাত করে ঘটে যাওয়া কোনও দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এদেশে ঢুকলে নিয়মে কিছু ছাড় দেওয়া রয়েছে৷
ভারতে ঢোকার পরে কোভিড প্রোটোকাল মেনে চলার দরুণ সংশ্লিষ্ট যাত্রী কী করতে পারবনে বা পারবেন না সেই সম্পর্কে বিমানের টিকিটেই উল্লেখ করা থাকবে৷ বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের প্রত্যেককে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়েছে৷ বিমানের ভিতরেও যাতে পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা হয় সেব্যাপারেো নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে৷
এছাড়াও মাস্ক পরা থেকে শুরু করে বিমানের ভিতরে যাত্রীদের সব ধরনের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক৷ ভারতের যে কোনও বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক যাত্রীরা নামলেই তাঁদের থার্মাল চেকিং বাধ্যতামূলক৷ ভারতে নামার পর কোনও আন্তর্জাতিক যাত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তখনই তাঁর চিকিতসার ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে পৃথকীকরণের কাজ করা হবে৷ এব্যাপারে যাত্রী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা বাকিদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে৷