যোগী আদিত্যনাথের(Yogi Adityanath) রাজ্যে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য কতটা প্রয়াস করা হয় তার একটা উদাহরণ আবারো সামনে এসেছে। আপনারা যদি India Rag এর নিয়মিত পাঠক হন তবে উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় হিন্দুদের উপর কিরকম অত্যাচার করা হতো সে সম্পর্কে অবশ্যই অবগত হবেন। হিন্দুদের দোকান পাট লুট, হিন্দু মেয়ে অপহরণ ইত্যাদি সবরকম কুকৃত্য করতো উন্মাদী জিহাদিরা। অবশ্য উন্মাদীদের সংখ্যা যেখানেই বেশি হয় সেখানেই এমন ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠে। সম্প্রতি সাহারণপুরে এমনি একটা ঘটনা ঘটিত হয়েছিল। কিন্তু অপরাধীদের ভাগ্য খারাপ ছিল। কারণ এখন উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ এর শাসন রয়েছে এবং উনি জিহাদি দমন বেশ ভলোরকম করতে জানেন।
সাহারণপুড়ে মহম্মদ সাহাজাদ নামক এক জিহাদি তার তিন সাথীকে নিয়ে খুব উৎপাত করতো। সম্প্রতি তারা দেবেন্দ্র ত্যাগী নামের এক হিন্দু কৃষককে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে টাকার দাবি করেছিল। সাহাজাদ ও তার সাথীরা হিন্দু কৃষককে অপহরণ করে তার ফোন থেকেই পরিবারের কাছে টাকা চেয়েছিল। দেবেন্দ্র ত্যাগীকে ছাড়ার শর্ত হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার দাবি করেছিল উন্মাদী জিহাদীরা। কিন্তু উন্মাদী বহুল এলাকায় যোগী আদিত্যনাথ এর পুলিশ বেশি সক্রিয় থাকে। এর কারণ সেখানে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য প্রশাসনকে বেশি সচেতন হতে হয়। উন্মাদী বহুল এলাকায় যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ প্রশাসনকে অনেক বেশি সক্রিয় রেখেছেন।
মহম্মদ সাহাজাদ ও বাকি জিহাদিদের কান্ড পুলিশের কানে আসা মাত্র পুলিশ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সাহাজাদ ও তার সাথীদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে যোগী পুলিশ। তারপর শুরু হয় এনকাউন্টারের খেলা। দুই দিক থেকে ২০ টি গুলি চলার পর এনকাউন্টার বন্ধ হয়। পুলিশ তল্লাশি করলে দেখা যায় যে, সাহাজাদ পুলিশের গুলি খেয়ে উপরে পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে বাকি ৩ জিহাদি পলায়ন করেছে। এনকাউন্টার বন্ধ হলে পুলিশ আগে এগিয়ে দেখে যে দেবেন্দ্র ত্যাগীকে বেঁধে রাখা হয়েছে। পুলিশ দেবেন্দ্র ত্যাগীকে মুক্ত করে এবং সাহাজাদের শবদেহকে নিজেদের কব্জায় নেয়। অন্য তিন অপরাধীকে এখন পুলিশ খোঁজার কাজে নেমেছে। এই একটা ঘটনায় ব্যাক্ত করে যে যোগী আদিত্যনাথের রাজে পুলিশ প্রশাসন মানুষের সুরক্ষা দিতে কতটা সক্রিয়।
বাংলা.ইন্ডিয়ারাগ.কম