‘তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বারে বাংলায় পদ্মফুল ফুটবেই।’ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঠিক পরেরদিনই ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন নব্য বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এবারে আর ধমকে চমকে ভোট হবে না। মানুষ ১০০ শতাংশ নিরাপত্তার সঙ্গে ভোট দেবে। আমরাও জানি ভোট কীভাবে করতে হয়। সেইভাবেই ভোট হবে। একুশের নির্বাচনে বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে।”
রাজীবের কথায়, “কেন্দ্র শুধুই বঞ্চনা করেছে বলে বলেই বামেরা একের পর এক ভোট বৈতরণী পার করল। তৃনমূলও সেই একই পথে হাঁটল। কেন্দ্রের সঙ্গে শুধু ঝগড়াই করে গেলাম। দল কেন্দ্রের সঙ্গে কখনও সমঝোতার চেষ্টা করেনি। তাই বাংলাকে সর্বদা বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য সুসম্পর্ক চাই।” তিনি বলেন, “রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নেই। শাসক দলের সদস্য না হলেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তাই এ বারে বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই। কেন্দ্রের সরকার বাংলায় এলে আখেরে বাংলারই লাভ।”
রবিবার বিজেপির এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শাহের বাংলা সফর বাতিল হয়ে যায়। তবে সশরীরে না থাকলে ভার্চুয়ালি সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এ দিন সদ্য দলত্যাগী ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে শাসক দলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ। তিনি বলেন, “দলের কর্মীদের কোনওদিন অসম্মান করব না। তাঁরাই আমাকে নেতা বানিয়েছি। এটা আজ দায়িত্ব নিয়ে বলেছি। আমি রাজনৈতিক শিষ্টাচারে বিশ্বাসী। তাই সেই মেনেই কাজ করব আগামীতে। তাতে আচিরেই অমিত শাহ জির টার্গেটে পৌঁছে যাব।”
যে দিন থেকে ‘বেসুরো’ বেজেছেন, সে দিন থেকেই তৃণমূলের একাধিক নেতা তাঁকে ‘গদ্দার’ বলতে শুরু করেছেন। তা নিয়ে যে রাজীব মর্মাহত, তা এ দিন বলতে ভোলেননি। ডুমুরজলার মঞ্চ থেকে সেই বলেন, “দল ছাড়লেই সে গদ্দার।” রাজীবের হুঁশিয়ারি, ” আপনারা যত অপশব্দ ব্যবহার করবেন, তত আমাদের ভাল। মানুষের জন্য কাজ করার জেদ আরও বাড়বে।” বিজেপির মঞ্চ থেকে রাজীবের দাবি, অমিত শাহ জির সঙ্গে আলোচনার পর খুশি। বাংলার পরিকল্পনা জেনে তবেই বিজেপির পতাকা নিয়েছি। নব্য বিজেপি রাজীব বলেন, “গতকাল অমিত শাহকে বলেছি, ক্ষমতায় এলে যুবকদের জন্য শিল্প আনব। হাওড়ায় আবার শিল্প হবে। বেকারদের হতাশা দূর হবে। বাংলার ছেলেদের কাজ নেই বলে বাইরে যেতে হচ্ছে, আর আর যাতে না হয় তাই তাই সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিচ্ছি।”