বিধ্বংসী আগুন:

বাগবাজার উইমেন্স কলেজের পাশে হাজার বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের বিশাল বাহিনী। পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। 
আজ বিকেলে আনুমানিক 6:30 এ হঠাৎই বাগবাজার ব্রিজের নিচে উইমেন্স কলেজের পাশে হাজারী বস্তিতে আগুন লেগে  যায়। ওই ঘন  জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুন অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বসতি অঞ্চলের বাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দমকলের ৭টি ইঞ্জিন একটু আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ দমকল বাহিনীর আস্তে দেরির ফলেই এই ধ্বংসলীলা।

শবস্তির ঘরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ জমা থাকায় আগুন অনেক দ্রুত বড় আকার ধারন করে বলে খবর। সেই আগুন ক্রমশঃ আশপাশের ফ্ল্যাটেও ছড়িয়ে পড়ে।দমকল বাহিনীর সিনিয়ার অফিসার রা পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এর ওপর উত্তরমুখী যান চলাচল বন্ধ। চিৎপুর লকগেট ব্রিজের ওপর তুমুল যানজট।
মায়ের বাড়ির অফিসে ছড়ালো আগুন।

blob:https://www.facebook.com/4b7e9812-4bd0-4fe2-9f94-e0aeb4136298

একই দিনে জোড়া অগ্নিকাণ্ডে উত্তাল শহর কলকাতা। বুধবার দুপুরেই মানিকতলার একটি ব্যাটারি কারখানায় আগুন লেগেছিল। আর সন্ধেয় বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্‌তি এলাকায় ঘটল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। একের পর এক সিলিন্ডার  বিস্ফোরণের শব্দে ছড়ায় তীব্র আতঙ্ক। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। আশপাশের বহুতলেও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর।

এদিন সন্ধেয় হঠাৎই আগুন লাগার ঘটনা টের পেয়ে বস্‌তি এলাকার লোকেরা দিশেহারার মতো এদিক-সেদিক ছুটতে থাকেন। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর পাওয়ার অনেক পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল কর্মীরা। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। আপাতত পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তবে ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই খবর। কিন্তু অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া বস্‌তিতে প্লাস্টিক, কাঠ ইত্যাদি নানা দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় রাতের অন্ধকারে আগুন নেভাতে আরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও তীব্র আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বস্‌তিতে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


©আদিত্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.