জানুয়ারিতেই কার্যত গ্রীষ্মের পরিস্থিতি। ভোর ও রাতে খানিকটা শীতের আমেজ থাকলেও বেলা বাড়তেই হাঁসফাঁস দশা। পৌষেও প্রয়োজন পড়ছে না লেপ-কম্বল-সোয়েটারের। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, তবে কি চলতি মরশুমে আর দেখা মিলবে না শীতের?
জানুয়ারির শুরু থেকেই উর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। সোমবার তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ২০.৯ ডিগ্রি। অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি। পৌষেও ঘর থেকে বেরিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা আমজনতার। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে সামান্য হলেও নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রা। পৌষ সংক্রান্তিতে থাকবে হালকা শীতের আমেজ। তবে এখনই জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভবনা নেই বলেই খবর। আবহাওয়াবিদদের কথায়, বিগত ১০ বছরের উষ্ণতম এই জানুয়ারি। জানা গিয়েছে, রবিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পুবালি হাওয়া ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে তামিলনাড়ু পুদুচেরি-সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কমতে পারে। শীতের আমেজ থাকবে উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লিসহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে।