বাংলায় বেকার সংখ্যা জানতে জব কার্ড বিলি করবে বিজেপি, সঙ্গে ৭৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি

এই যেদিন জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল, সেদিনই তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের একটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে। গত দশ বছরে বাংলায় কত নতুন কারখানা হয়েছে, ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কত মানুষের কাজের সুযোগ হয়েছে তার বর্ণনা রয়েছে ওই রিপোর্ট কার্ডে।

রবিবাসরীয় বিকেলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বললেন, “ও সব ঢপ। চপ ভাজা ছাড়া বাংলায় আর কোনও শিল্পের দিশা দেখাতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরে শিল্প বন্ধ করে সর্ষে বীজ ছড়িয়েছিলেন। তাতে সেখানকার মানুষের কোনও উপকার হয়নি। বেকার যুবকরা চোখে সর্ষে ফুলই দেখেছেন।” এ কথা বলে দলের যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁকে পাশে নিয়ে মুকুল বাবু ঘোষণা করেছেন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে ৭৫ লক্ষ যুবকের কাজের সুযোগ হবে।

তাঁর কথায়, “আমরা বলতে পারি না যে ৭৫ লক্ষ যুবকের চাকরি করে দেব। তবে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেকারদের অবহিত করতে চাই যে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। তাদের চাকরি বা কাজের যাতে ব্যবস্থা হয় তা নিশ্চিত করব।”

মুকুল বাবুর এ ঘোষণার পর সৌমিত্র জানিয়েছেন, বেকারদের একটি প্রতিশ্রুতি কার্ড বিলি করবে বিজেপির যুব মোর্চা। তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। তার পর বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই তালিকা ধরে ধরে বিজেপি তাঁদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। পাঁচ বছরে ৭৫ লক্ষ যুবকের চাকরি বা কাজের সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।

মুকুলবাবু ও সৌমিত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বেকারদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য তো একটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা রয়েছে। তা হল এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ। কেন একটি রাজনৈতিক দলের খাতায় বেকাররা নাম নথিভুক্ত করবেন?

জবাবে সৌমিত্র বলেন, “ওই সব এক্সচেঞ্জের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। তা রাখাও হয়নি। কারণ, এ ধরনের কোনও প্রতিষ্ঠান টিকে থাকলে ফাঁস হয়ে যাবে বাংলায় প্রকৃত পক্ষে বেকারের সংখ্যা কত? তাতে বর্তমান সরকারের মিথ্যাচার ফাঁস হয়ে যাবে। বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেকার যুবকদের নাম নথিভুক্ত করবেন। তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে বাংলায় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে কত যুবকের হাতে কাজ নেই বা ঠিকমতো চাকরি নেই।”

মুকুলবাবু এদিন বলেন, “মোটামুটি ভাবে বাংলায় বেকারত্বের হার হল ১৮ শতাংশ। তা ছাড়া উদ্বেগের বিষয় হল, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশ প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না। শিক্ষক নিয়োগের নামে কি অনাচার হয়েছে তাও দু’দিন আগে হাইকোর্টের রায়ে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.