‘উনি এমন আইনজীবী যে কোনও মামলায় জেতেননি’, কল্যাণকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বললেন, উনি এমন আইনজীবী যে কোনও মামলায় জেতেননি৷

জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করায় স্বরাষ্ট্রসচিবকে কড়া চিঠি দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবার সকালে রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকায় চায়ে পে চর্চায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ইস্যুতে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ৷ বলেন, “উনি কেমন আইনজীবী তা সবাই জানেন। তিনি কোনও মামলায় জেতেননি। এরপরেই কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কোন হরিদাস পাল, যে উনি চিঠি লিখলেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা সরকারের কেউ চিঠি লিখলে অন্য কথা ছিল।”

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে কড়া চিঠি দিয়েছেন সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। এ ভাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে ডেকে পাঠানো অসাংবিধানিক বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ৷ চিঠিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে কল্যাণের কড়া বার্তা, ‘আপনি বা আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন৷”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, সংবিধানের ৭ নম্বর সিডিউল অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি রাজ্যের বিষয়। তার পরেও কীভাবে রাজ্যের দুই অফিসারকে এভাবে তলব করা যেতে পারে! কেন্দ্র কী এভাবে রাজ্যের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে! মনে হচ্ছে একেবারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ও স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রীর নির্দেশেই এরকম একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এখানেই থেমে থাকেননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে তিনি আরও লিখেছেন, আপনি রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের জন্য ডেকেছেন। ওই ৩ আইপিএস অফিসারই ১০ ডিসেম্বর যেখানে নাড্ডার ওপরে হামলা যেখানে হয় সেই এলাকাতেই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে আপনারা ওই তিন অফিসারকে তুলে নিয়ে রাজ্য পুলিশ মহলে চাপ সৃষ্টি করছে চাইছেন। সংসদের অধিবেশন এখন চলছে না। তাই দলের তরফে আপনাকে অনুরোধ, অমিত শাহর নির্দেশ কাজ করবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের একজন আমলা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করুন।

স্বরাষ্ট্রসচিবকে দেওয়া চিঠিতে কল্যাণ লিখেছেন, “বিজেপি নেতা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে বিপজ্জনক ভাবে সমস্ত আইনকে নদীর জলে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে৷ আপনারা পরোক্ষে বাংলায় জরুরি অবস্থা জারির চেষ্টা করছেন৷ সমস্ত আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের আপনারা তটস্থ করে রেখেছেন৷”

এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “উনি একজন সাধারণ সাংসদ। সামনের নির্বাচনে তাঁকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.