বৃহস্পতিবার সকালে কাশ্মীরের নাগরোটায় জাতীয় সড়কের ওপরেই এনকাউন্টার হয়। আগাম খবর পেয়েই নিরাপত্তাবাহিনী নাকা চেকিং করছিল। সেখানেই শুরু হয় জঙ্গি ও সেনার মধ্যে গুলির লড়াই। মৃত্যু হয় চার জঙ্গির। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১টি একে ৪৭ রাইফেল ও প্রচুর কার্তুজ। জঙ্গিদের কাছে এত বিপুল অস্ত্রের সমাহার দেখে চোখ কপালে উঠছে সেনার শীর্ষ আধিকারিকদের।
পুরো ঘটনার রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতেও। এনিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। নাগরোটা এনকাউন্টার নিয়ে শুক্রবার দিল্লিতে এক গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয় মুম্বই হানার বর্ষপূর্তিতে ২৬/১১-র মতো বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের।
বৈঠকের পর নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশংসা করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির স্পষ্ট ইঙ্গিত কাশ্মীরে ডিডিসি নির্বাচনেও হামলার ছক ছিল জইস জঙ্গিদের। মোদি দুটি টুইট করেন কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন হয়ে। তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানের জয়েশের চার সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু ও তাদের সঙ্গে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র থেকে এটা স্পষ্ট যে বড় রকম ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল তারা। নিরাপত্তাবাহিনী ফের চরম সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। তাদের তৎপরতার জন্যেই জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ বিঘ্ন করার পরিকল্পনা পরাজিত হয়েছে’।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরের নাগরোটায় এই এনকাউন্টার মোটেও হাল্কা নজরে দেখছে না নয়া দিল্লি। প্রধানমন্ত্রীর টুইটও এদিন সেই দিকেই ইঙ্গিত দিল। এতো বিরাট পরিমাণে অস্ত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বড় কোনও আঘাত হানতে পারত জইশ জঙ্গিরা। কিন্তু তার আগেই সেই ছক ভেস্তে দিয়েছে সেনা। তবে নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে ঘটনার পর থেকে।